ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার ভিসার প্রয়োজন কী?

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 23

শেখ হাসিনা

ভারতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে’ বলে দিল্লির একটি প্রথম সারির দৈনিকে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা কার্যত নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র আভাস দিয়েছেন, শেখ হাসিনা এখন যে ‘স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন, তাতে তাকে ভারতের ‘ভিসা দেওয়া’ বা ‘ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা’র কোনও প্রয়োজন নেই— আর তাই সেটা করারও প্রশ্ন ওঠে না।

প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে শেখ হাসিনা ঠিক কোন স্ট্যাটাসে ভারতে রয়েছেন, তা দিল্লি আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তত কখনোই স্পষ্ট করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগাগোড়া শুধু এটুকুই বলে এসেছে যে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সুরক্ষার কারণে ‘সাময়িকভাবে’ ভারতে আসতে চেয়েছিলেন এবং তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে বেশ কয়েক মাস আগে, শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার একটি ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ বা টিডি ইস্যু করেছে। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিলেও তাতে ভারত থেকে তৃতীয় কোনও দেশে সফর করতে শেখ হাসিনার সমস্যা হবে না।

ভারতে যে বেশ কয়েক লাখ তিব্বতি শরণার্থী থাকেন, তাদের মধ্যেও অনেকেই আজ পর্যন্ত ভারতের পাসপোর্ট নেননি। তারপরও তারা ভারত সরকারের জারি করা এই একই ধরনের ‘টিডি’ দিয়েই দুনিয়ার নানা দেশে অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

এই টিডি বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এমন একটি নথি, যা হাতে থাকলে যে দেশ সেটি জারি করেছে সেখানে থাকার জন্য তার আলাদা করে কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। কারণ কার্যত এটি সে দেশের পাসপোর্টের মতোই কাজ করে।

এ কারণেই দিল্লিতে একটি তথ্যাভিজ্ঞ সূত্র বলছেন, ‘যদি ধরে নিই শেখ হাসিনাকে টিডি দেওয়া হয়েছে, তাহলে তাকে আলাদা করে ভিসা দিতে হবে কেন, বা ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে কেন; সেটাই তো বোধগম্য নয়!’

তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শেখ হাসিনাকে টিডি দেওয়ার পাশাপাশি ভারত কিন্তু ‘লং টার্ম’ বা দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি পারমিটও দিয়ে থাকতে পারে– যেটা কোনও বিদেশিকে ভারতের মাটিতে টানা দীর্ঘ সময় বসবাসের অনুমতি দেয়।

‘যেটাই হোক, সহজ যুক্তি বলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তাকে ভিসা দেওয়ার বা ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও দরকারই নেই’ বলছিলেন ওই সূত্রটি।

এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ লিখেছিল, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পটভূমিতে ভারত সরকার তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে; যাতে তার ভারতে লম্বা সময় থাকতে কোনও অসুবিধা না হয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তে জড়িত ছিল এবং তাদের অধীনস্থ স্থানীয় এফআরআরও-র (ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) মাধ্যমেই এটি কার্যকর করা হয় বলে ওই খবরে দাবি করা হয়।

শেয়ার করুন

শেখ হাসিনার ভিসার প্রয়োজন কী?

সময় ১১:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে’ বলে দিল্লির একটি প্রথম সারির দৈনিকে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা কার্যত নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র আভাস দিয়েছেন, শেখ হাসিনা এখন যে ‘স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন, তাতে তাকে ভারতের ‘ভিসা দেওয়া’ বা ‘ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা’র কোনও প্রয়োজন নেই— আর তাই সেটা করারও প্রশ্ন ওঠে না।

প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে শেখ হাসিনা ঠিক কোন স্ট্যাটাসে ভারতে রয়েছেন, তা দিল্লি আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তত কখনোই স্পষ্ট করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগাগোড়া শুধু এটুকুই বলে এসেছে যে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সুরক্ষার কারণে ‘সাময়িকভাবে’ ভারতে আসতে চেয়েছিলেন এবং তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে বেশ কয়েক মাস আগে, শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার একটি ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ বা টিডি ইস্যু করেছে। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিলেও তাতে ভারত থেকে তৃতীয় কোনও দেশে সফর করতে শেখ হাসিনার সমস্যা হবে না।

ভারতে যে বেশ কয়েক লাখ তিব্বতি শরণার্থী থাকেন, তাদের মধ্যেও অনেকেই আজ পর্যন্ত ভারতের পাসপোর্ট নেননি। তারপরও তারা ভারত সরকারের জারি করা এই একই ধরনের ‘টিডি’ দিয়েই দুনিয়ার নানা দেশে অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

এই টিডি বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এমন একটি নথি, যা হাতে থাকলে যে দেশ সেটি জারি করেছে সেখানে থাকার জন্য তার আলাদা করে কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। কারণ কার্যত এটি সে দেশের পাসপোর্টের মতোই কাজ করে।

এ কারণেই দিল্লিতে একটি তথ্যাভিজ্ঞ সূত্র বলছেন, ‘যদি ধরে নিই শেখ হাসিনাকে টিডি দেওয়া হয়েছে, তাহলে তাকে আলাদা করে ভিসা দিতে হবে কেন, বা ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে কেন; সেটাই তো বোধগম্য নয়!’

তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শেখ হাসিনাকে টিডি দেওয়ার পাশাপাশি ভারত কিন্তু ‘লং টার্ম’ বা দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি পারমিটও দিয়ে থাকতে পারে– যেটা কোনও বিদেশিকে ভারতের মাটিতে টানা দীর্ঘ সময় বসবাসের অনুমতি দেয়।

‘যেটাই হোক, সহজ যুক্তি বলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তাকে ভিসা দেওয়ার বা ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও দরকারই নেই’ বলছিলেন ওই সূত্রটি।

এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ লিখেছিল, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পটভূমিতে ভারত সরকার তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে; যাতে তার ভারতে লম্বা সময় থাকতে কোনও অসুবিধা না হয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তে জড়িত ছিল এবং তাদের অধীনস্থ স্থানীয় এফআরআরও-র (ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) মাধ্যমেই এটি কার্যকর করা হয় বলে ওই খবরে দাবি করা হয়।