০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোভে পড়ে বাংলাদেশিরা স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৩:১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 59

রোহিঙ্গা ক্যাম্প

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এস.এম.এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, কক্সবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা যাচাই করতে গিয়ে তিনি এমন তথ্য পেয়েছেন যে, রিলিফ বা ত্রাণের আশায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় তিনি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছি। অনেক স্থানীয় বাংলাদেশি রোহিঙ্গা হয়ে যাচ্ছেন, রিলিফের জন্য। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, একদিকে স্বামী রোহিঙ্গা, আর স্ত্রী বাংলাদেশি, আবার অন্যদিকে স্ত্রী বাংলাদেশি এবং স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ করা খুবই জরুরি, যাতে সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হয়। তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার ছিল, যারা কবর থেকে ভোট দিয়েছে। এবং ৩৬ লাখ ভোটার থাকতে পারতেন, যাদের নাম তালিকায় ছিল না। এসব বিষয়ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”

সিইসি এ সময় আরও বলেন, “সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর ভোটের মতো নির্বাচন করা গেলে ভালো হতো। সাংবাদিকদের ভোটে কোনো ঝামেলা, কারচুপি বা অভিযোগ নেই। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ চাই, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়।”

নির্বাচন কমিশনারদের সাথে ইআরএফ নেতৃবৃন্দ
নির্বাচন কমিশনারদের সাথে আরএফইডি নেতৃবৃন্দ। 

আগামী জুনের মধ্যে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন পরামর্শ দিয়েছে, জুনে নির্বাচন করা সম্ভব। সেটি সম্ভব হবে যদি ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া না হয় এবং নতুন ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুন মাসে।’

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছে। তাঁরা (কমিশনের সদস্যরা) বিজ্ঞ ও জ্ঞানী লোকজন। এ বিষয়ে সিইসির কোনো মন্তব্য নেই। এ বিষয়ে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। নির্বাচন কমিশন এ বিতর্কে জড়াতে চায় না। আগে ভোটার তালিকা হোক। এখনো ভোটার তালিকা করা সম্ভব হয়নি।’

সিইসি বলেন, তাঁরা আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চান না। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন।

বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় সিইসির কাছে। জবাবে তিনি বলেন, তাঁরা মনে করছেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। তিনি আশা করেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।

শেয়ার করুন

লোভে পড়ে বাংলাদেশিরা স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন

সময় ০৩:১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এস.এম.এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, কক্সবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা যাচাই করতে গিয়ে তিনি এমন তথ্য পেয়েছেন যে, রিলিফ বা ত্রাণের আশায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় তিনি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছি। অনেক স্থানীয় বাংলাদেশি রোহিঙ্গা হয়ে যাচ্ছেন, রিলিফের জন্য। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, একদিকে স্বামী রোহিঙ্গা, আর স্ত্রী বাংলাদেশি, আবার অন্যদিকে স্ত্রী বাংলাদেশি এবং স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ করা খুবই জরুরি, যাতে সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হয়। তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার ছিল, যারা কবর থেকে ভোট দিয়েছে। এবং ৩৬ লাখ ভোটার থাকতে পারতেন, যাদের নাম তালিকায় ছিল না। এসব বিষয়ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”

সিইসি এ সময় আরও বলেন, “সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর ভোটের মতো নির্বাচন করা গেলে ভালো হতো। সাংবাদিকদের ভোটে কোনো ঝামেলা, কারচুপি বা অভিযোগ নেই। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ চাই, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়।”

নির্বাচন কমিশনারদের সাথে ইআরএফ নেতৃবৃন্দ
নির্বাচন কমিশনারদের সাথে আরএফইডি নেতৃবৃন্দ। 

আগামী জুনের মধ্যে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন পরামর্শ দিয়েছে, জুনে নির্বাচন করা সম্ভব। সেটি সম্ভব হবে যদি ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া না হয় এবং নতুন ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুন মাসে।’

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছে। তাঁরা (কমিশনের সদস্যরা) বিজ্ঞ ও জ্ঞানী লোকজন। এ বিষয়ে সিইসির কোনো মন্তব্য নেই। এ বিষয়ে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। নির্বাচন কমিশন এ বিতর্কে জড়াতে চায় না। আগে ভোটার তালিকা হোক। এখনো ভোটার তালিকা করা সম্ভব হয়নি।’

সিইসি বলেন, তাঁরা আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চান না। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন।

বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় সিইসির কাছে। জবাবে তিনি বলেন, তাঁরা মনে করছেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। তিনি আশা করেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।