ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের আয়নাঘর ছিল, জুলাই বিপ্লবের পরও আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০১:০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 30

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, র‍্যাবের আয়নাঘর ছিল, জুলাই বিপ্লবের পরেও সেভাবেই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের কারণে এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলছে।

র‌্যাব (ফাইল ফটো)
র‌্যাব (ফাইল ফটো)

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব। সাড়ে ১৪ হাজার আসামিসহ এ পর্যন্ত অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব ডিজি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো ততদিন র‍্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

সবশেষ গত জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল র‍্যাবের বিরুদ্ধে। যদিও সরকার পতনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গুলি নয় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল।

গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফের আলোচনায় এসেছে র‍্যাবের ভূমিকা। গুমসংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে সরকার একটি কমিশনও গঠন করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩৮৩টি অভিযোগ যাচাই করে কমিশন জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৭২টি অভিযোগই এসেছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে।

শেয়ার করুন

র‌্যাবের আয়নাঘর ছিল, জুলাই বিপ্লবের পরও আছে

সময় ০১:০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, র‍্যাবের আয়নাঘর ছিল, জুলাই বিপ্লবের পরেও সেভাবেই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের কারণে এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলছে।

র‌্যাব (ফাইল ফটো)
র‌্যাব (ফাইল ফটো)

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব। সাড়ে ১৪ হাজার আসামিসহ এ পর্যন্ত অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব ডিজি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো ততদিন র‍্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

সবশেষ গত জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল র‍্যাবের বিরুদ্ধে। যদিও সরকার পতনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গুলি নয় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল।

গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফের আলোচনায় এসেছে র‍্যাবের ভূমিকা। গুমসংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে সরকার একটি কমিশনও গঠন করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩৮৩টি অভিযোগ যাচাই করে কমিশন জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৭২টি অভিযোগই এসেছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে।