ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জন পাহাড় থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 37

দুই অপহরণকারী

টেকনাফের পাহাড়ি অরণ্য থেকে ১০ রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই অপহরণকারীকে।

শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ির পেছনের পাহাড়ের চূড়া থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন রোহিঙ্গা। অপহৃতদের ৬ জন শিশু।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো– মোহাম্মদ হারুন (২৫) ও নূর মোহাম্মদ (১৯)। দুজনই টেকনাফের কচ্ছপিয়া করাচিপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্র জানায়, অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১৬-১৭ দিন আগে ধাপে ধাপে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের আটকে রাখে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘অপহরণকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উদ্ধার ভিকটিমদের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকৃত ১৫ জনকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আর আটক ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনী প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরো অধিকতর তথ্য উপাত্ত জানার প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জন পাহাড় থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সময় ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

টেকনাফের পাহাড়ি অরণ্য থেকে ১০ রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই অপহরণকারীকে।

শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ির পেছনের পাহাড়ের চূড়া থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন রোহিঙ্গা। অপহৃতদের ৬ জন শিশু।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো– মোহাম্মদ হারুন (২৫) ও নূর মোহাম্মদ (১৯)। দুজনই টেকনাফের কচ্ছপিয়া করাচিপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্র জানায়, অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১৬-১৭ দিন আগে ধাপে ধাপে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের আটকে রাখে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘অপহরণকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উদ্ধার ভিকটিমদের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকৃত ১৫ জনকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আর আটক ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনী প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরো অধিকতর তথ্য উপাত্ত জানার প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।