০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোববার ডিসি সম্মেলন শুরু, রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ নেই

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ১০:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 45

ডিসি সম্মেলন

আগামীকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন, যা ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চলবে। এবার ডিসি সম্মেলনে ৩৫৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অংশগ্রহণকারী জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা। তবে রাখা হয়নি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। এ সম্মেলন ‍উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব অধিবেশন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে, তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নীতিগত দিকনির্দেশনা দেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১,২৪৫টি প্রস্তাব থেকে বাছাই করা ৩৫৩টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু প্রস্তাব পূর্ববর্তী সম্মেলনে আলোচিত হওয়ায় কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দ্বিমতের কারণে বাদ পড়েছে।

ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় যোগ দেবেন এবং রাতে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নৈশভোজ করবেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বিকেল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান হবে।

এবারের সম্মেলনে পূর্বের রেওয়াজ থাকলেও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সরকারের নীতিনির্ধারক ও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলন আয়োজিত হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কেননা এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন।

শেয়ার করুন

রোববার ডিসি সম্মেলন শুরু, রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ নেই

সময় ১০:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আগামীকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন, যা ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চলবে। এবার ডিসি সম্মেলনে ৩৫৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অংশগ্রহণকারী জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা। তবে রাখা হয়নি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। এ সম্মেলন ‍উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব অধিবেশন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে, তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নীতিগত দিকনির্দেশনা দেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১,২৪৫টি প্রস্তাব থেকে বাছাই করা ৩৫৩টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু প্রস্তাব পূর্ববর্তী সম্মেলনে আলোচিত হওয়ায় কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দ্বিমতের কারণে বাদ পড়েছে।

ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় যোগ দেবেন এবং রাতে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নৈশভোজ করবেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বিকেল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান হবে।

এবারের সম্মেলনে পূর্বের রেওয়াজ থাকলেও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সরকারের নীতিনির্ধারক ও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলন আয়োজিত হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কেননা এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন।