রায়পুরায় পাগলনাথ মন্দিরে অষ্টমী স্নানে লাখো পূণ্যার্থীর ঢল

- সময় ০৭:০৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
- / 32
নরসিংদীর রায়পুরায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী তিথিতে সিদ্ধ পুরুষ পাগলনাথ মন্দিরে স্নান ও মেলা হয়েছে। ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে লাখো পুণ্যার্থী ভক্তের আগমনে উৎসবের রূপ নেয় পুরো দেশের বিভিন্ন জেলা – উপজেলা সহ স্থানীয় এলাকা।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার ভোর থেকে দিনব্যাপী উপজেলার পৌর এলাকার তাত্তাকান্দা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাগলনাথ মন্দির ঘাটে এ উৎস হয়।
জানা যায়, ‘মধু কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি নক্ষত্র যোগে’ নদীতে স্নান করলে পাপ মোচন হয়—এই বিশ্বাস থেকেই ভোর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত লাখো ভক্তরা পৌর তাত্তাকান্দা পাগলনাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে সমবেত হন। স্নান শেষে ভক্তরা মন্ত্রপাঠ, প্রার্থনায় অংশ নিয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।
স্নান ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বসে রঙিন গ্রামীণ মেলা। এতে নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে পরিণত করে এক আনন্দঘন মিলনমেলায়। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সজল পাল চৌধুরী জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানে এ স্নানের আয়োজন হয়ে আসছে।
ঐতিহ্যেবাহী পাগলনাথ মন্দিরে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, রাধাঅষ্টমী, শিবচতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, হরিসভা, যেখানে ভক্তরা সমবেত হন প্রার্থনায়, দোলপূর্ণিমাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।
স্নানে অংশ নিতে আসা ভক্ত বিশ্বজিৎ রায়, অনিল বর্মণ বলেন, “পাগলনাথ মন্দিরের প্রশান্ত পরিবেশ এবং ভক্তিপূর্ণ আবহে এসে আত্মার শান্তি পাই। পাপ মোচনের আশায় ও পূণ্য লাভে প্রতি বছর এ স্নানে অংশ নিই।
রায়পুরা পৌর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় চন্দ্র পাল বলেন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসীও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে অসছে। মন্দির ও ঘাটের সংস্কারে সিদ্ধ পুরুষ পাগলনাথ মন্দিরে ভক্তদের সহযোগিতায় এটি দেশের অন্যতম পূণ্যতীর্থে রূপ নিতে পারে।
এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসীও সক্রিয় ভূমিকা রাখে, যা এ আয়োজনকে করে তোলে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।
শেয়ার করুন

রায়পুরায় পাগলনাথ মন্দিরে অষ্টমী স্নানে লাখো পূণ্যার্থীর ঢল

নরসিংদীর রায়পুরায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী তিথিতে সিদ্ধ পুরুষ পাগলনাথ মন্দিরে স্নান ও মেলা হয়েছে। ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে লাখো পুণ্যার্থী ভক্তের আগমনে উৎসবের রূপ নেয় পুরো দেশের বিভিন্ন জেলা – উপজেলা সহ স্থানীয় এলাকা।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার ভোর থেকে দিনব্যাপী উপজেলার পৌর এলাকার তাত্তাকান্দা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাগলনাথ মন্দির ঘাটে এ উৎস হয়।
জানা যায়, ‘মধু কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি নক্ষত্র যোগে’ নদীতে স্নান করলে পাপ মোচন হয়—এই বিশ্বাস থেকেই ভোর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত লাখো ভক্তরা পৌর তাত্তাকান্দা পাগলনাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে সমবেত হন। স্নান শেষে ভক্তরা মন্ত্রপাঠ, প্রার্থনায় অংশ নিয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।
স্নান ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বসে রঙিন গ্রামীণ মেলা। এতে নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে পরিণত করে এক আনন্দঘন মিলনমেলায়। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সজল পাল চৌধুরী জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানে এ স্নানের আয়োজন হয়ে আসছে।
ঐতিহ্যেবাহী পাগলনাথ মন্দিরে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, রাধাঅষ্টমী, শিবচতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, হরিসভা, যেখানে ভক্তরা সমবেত হন প্রার্থনায়, দোলপূর্ণিমাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।
স্নানে অংশ নিতে আসা ভক্ত বিশ্বজিৎ রায়, অনিল বর্মণ বলেন, “পাগলনাথ মন্দিরের প্রশান্ত পরিবেশ এবং ভক্তিপূর্ণ আবহে এসে আত্মার শান্তি পাই। পাপ মোচনের আশায় ও পূণ্য লাভে প্রতি বছর এ স্নানে অংশ নিই।
রায়পুরা পৌর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় চন্দ্র পাল বলেন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসীও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে অসছে। মন্দির ও ঘাটের সংস্কারে সিদ্ধ পুরুষ পাগলনাথ মন্দিরে ভক্তদের সহযোগিতায় এটি দেশের অন্যতম পূণ্যতীর্থে রূপ নিতে পারে।
এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসীও সক্রিয় ভূমিকা রাখে, যা এ আয়োজনকে করে তোলে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।