রায়পুরাতে টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধ নিহত একজন, আহত ১০
- সময় ০৬:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
- / 80
নরসিংদী রায়পুরার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমগীর ওরফে আলম (২০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। নিহত আলমগীর ওরফে আলম ওই ইউনিয়নের দীঘলিয়াকান্দি এলাকার জহর আলীর ছেলে। তার পড়নে একটি পুলিশের ভেস্ট (বুলেট প্রুফ জ্যাকেট) ছিলো। আহতদের কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর সহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআদিল মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা পুলিশসহ রায়পুরা থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পৌঁছায়। পরে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান ও নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: কলিমুল্লাহ।
পরিদর্শন শেষে ঢাকা রেঞ্জের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবরে জেলা পুুলিশ সহ ঘটনাস্থল আসি। পুরো এলাকা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। গত রাত থেকে গোয়েন্দা নজরদারীতে ছিলো। এ ঘটনায় আলম নামে একজন নিহত হয়েছেন।
নিহতের পড়নে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীতে জেলা কারাগার ভেঙে অস্ত্র লুট করা হয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় বিভিন্ন অস্ত্রের পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা এ ধরনের জ্যাকেট লুট করে এখন তারা এসব বিভিন্ন খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। খুব দ্রুতই এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার কথা জানান ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন যাবত এলাকা ছাড়া ছিলেন আশরাফুল হকের সমর্থকরা। এলাকায় ঢুকার খবরে শনিবার রাত থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর সকালে আশরাফুলের লোকজন এলাকায় ঢুকতে গেলে বাঁধা দেয় প্রতিপক্ষ রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকরা। এসময় দুপক্ষের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎক আলম নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও বাকি আহতরা জেলা, উপজেলা সহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছ।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, রায়পুরার বাঁশগাড়ী থেকে আলমগীর ওরুফে আলম নামে একজনকে মৃত অবস্থায় ও রুবেল নামে আরেকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। নিহতের লাশ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহত ব্যক্তির পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।