রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার, উপাচার্যের নির্দেশনা | Bangla Affairs
০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার, উপাচার্যের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • সময় ০৯:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 8

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শানিবার থেকে। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে রাবির উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব দিয়েছেন নির্দেশনাও।তিনি বলেন, আগামীকাল ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে যথাক্রমে B, A ও C ইউনিটের ভর্তি-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে এবার প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এ বছর মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৩টি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর অঞ্চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও দ্যা মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাসসহ বিস্তারিত সময়সূচি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তাদের আসন ও পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।

তিন ইউনিট মিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭২ হাজার ৩৫ জন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮২ হাজার ৭৪১ জন; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার জন; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ সন্নিহিত অন্য দুটো ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৬৩০ জন; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৩ হাজার ১৮ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯৯১ জন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত B ইউনিটের; দ্বিতীয় দিন ১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সকাল ১১টা থেকে ১২টা ও দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত A ইউনিটের এবং তৃতীয় দিন ২৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সকাল ১১টা থেকে ১২টা ও দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত C ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারে এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা MCQ পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
আপনাদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ম বর্ষের ভর্তি-পরীক্ষা ও এতদসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিন দিনে এবার প্রায় ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। অতীতের মতো এবারও সকলের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠুভাবে ও সুনামের সাথে ভর্তি-পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা আশা করছি।

ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিকভাবে সচেষ্ট আছে। এ বিষয়ে ভর্তি-পরীক্ষা কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহ, ইউনিটভিত্তিক কমিটিসমূহ, আইসিটি সেন্টার, প্রক্টর দপ্তর, ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর, জনসংযোগ দপ্তর, পরিবহণ দপ্তর ও হল প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রশাসন ও পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। এই পরীক্ষা সুশৃংঙ্খলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এসকল কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক সহযোগিতা আশা করছি।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, কখনও কখনও অসাধুচক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের নিকট থেকে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নিয়ে থাকে। তারা কখনও কখনও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমাও রাখে এবং রেজাল্ট শিটে নাম দেখেই অর্থ দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ নিজ যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেয়েও প্রতারণার শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে এমন প্রতারকচক্রের খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছি। এ ধরনের কোনো কিছুর আভাস-ইঙ্গিত পেলে তা যথাশীঘ্র সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতেও পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। এখানে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ আছে। এ সকল অপতৎপরতা রোধে প্রশাসনের গৃহিত পদক্ষেপের পাশাপাশি অতীতের মতো আপনারাও সচেতনতা সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি। কোনো প্রকার জালিয়াতি, কারসাজি বা অশুভ তৎপরতা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে প্রক্টর দপ্তরকে অবহিত করতে আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের তৎপরতা, সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড ও আপনাদের সহযোগিতায় এই ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

প্রসঙ্গত ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, বিষয় ও হল নির্বাচন, মাইগ্রেশনসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এতে করে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফল প্রকাশ করা এবং সর্বোপরি জাল-জালিয়াতি ও কারসাজি রোধ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞগণ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ভর্তি হবার সময়ও প্রতিটি বিভাগ পরীক্ষার্থীর কাগজপত্রসহ ছবিগুলো মিলিয়ে দেখবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত মূল পরিচয়পত্র দেবার সময়ও ঐ পরীক্ষার্থীর ছবি আইসিটি সেন্টার মিলিয়ে দেখবেন। যদি এক্ষেত্রে কোনো অসংঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় তাহলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd/ থেকে দেখা যাবে।

ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপসমূহ:
১. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ৬টি হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. অভিভাবকদের বসার জন্য সর্বমোট ১১টি অভিভাবক টেন্ট তৈরি করা হয়েছে।
৩. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ২টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটসহ ক্যাম্পাসে নির্দিষ্ট স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন সদস্য কর্মরত থাকবে। এছাড়াও। ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার গাইড ও স্টুডেন্টস কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের ১০০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
৫. প্রতিটি একাডেমিক ভবনের প্রবেশ পথে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার গাইড নিয়োজিত থাকবে।
৬. প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে পরীক্ষার আগের দিনগুলোতে টহল ও পরীক্ষার দিনগুলোতে নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরি করা হবে।
৭. ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ৬০ জন কোয়ান্টাম সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
৮. প্রতিবন্ধী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য রোভার স্কাউট ও পিডিএফ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
৯. এস্টেট দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে অস্থায়ী খাবারের দোকান, স্থান নির্ধারণ, মূল্য নির্ধারণে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
১১. পরীক্ষার দিনগুলোতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল বক্স স্থাপন করা হয়েছে।
১২. ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রক্সিকাণ্ডের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রক্টর অফিস কর্তৃক চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমি আপনাদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের বিশেষভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই যে, তারা যেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে অনলাইনে প্রদত্ত দুই পৃষ্ঠার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে A4 মাপের কাগজে রঙিন প্রিন্ট করে নেয়। প্রবেশপত্রের দুই পৃষ্ঠার প্রথম পৃষ্ঠা পরীক্ষার্থীর কপি (Candidate Copy) ও অন্য পৃষ্ঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের কপি (University Copy)। উল্লেখ্য যে, পরীক্ষার সময় এই দুই পৃষ্ঠার প্রবেশপত্র ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের গায়ে উল্লেখিত নির্দেশনাবলী পূর্বেই ভালোভাবে লক্ষ্য করে সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো ধরনের ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ ও মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।

ভর্তি-পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে আছে,

১. কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করা ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল বেগম খালেদা জিয়া হল স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সকল রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে।

২. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবনগুলোর গেট খুলে দেওয়া হবে।

৩. সকাল ৯:৩০ মিনিটের পর একাডেমিক ভবনগুলোর দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেল ও অটো রিক্সাসহ কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত গাড়িসমূহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।

৪. পরীক্ষার দিন সকাল ৯:৩০ মিনিটের পর চারুকলা গেট দিয়ে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বাজারের রাস্তা হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে।

৫. পরীক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস জুবেরীভবন সংলগ্ন মাঠে পার্কিং করতে হবে এবং ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ সাবাস বাংলাদেশ মাঠে পার্কিং করা যাবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ পার্কিংয়ের জন্য সাবাস বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করবেন।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় বসবাসকারীরা ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন আবাসিক এলাকায় প্রবেশের জন্য শুধুমাত্র কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট ও রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন।

 

শেয়ার করুন

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার, উপাচার্যের নির্দেশনা

সময় ০৯:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শানিবার থেকে। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে রাবির উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব দিয়েছেন নির্দেশনাও।তিনি বলেন, আগামীকাল ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে যথাক্রমে B, A ও C ইউনিটের ভর্তি-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে এবার প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এ বছর মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৩টি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর অঞ্চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও দ্যা মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাসসহ বিস্তারিত সময়সূচি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তাদের আসন ও পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।

তিন ইউনিট মিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭২ হাজার ৩৫ জন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮২ হাজার ৭৪১ জন; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার জন; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ সন্নিহিত অন্য দুটো ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৬৩০ জন; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৩ হাজার ১৮ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯৯১ জন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত B ইউনিটের; দ্বিতীয় দিন ১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সকাল ১১টা থেকে ১২টা ও দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত A ইউনিটের এবং তৃতীয় দিন ২৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সকাল ১১টা থেকে ১২টা ও দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত C ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারে এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা MCQ পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
আপনাদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ম বর্ষের ভর্তি-পরীক্ষা ও এতদসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিন দিনে এবার প্রায় ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। অতীতের মতো এবারও সকলের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠুভাবে ও সুনামের সাথে ভর্তি-পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা আশা করছি।

ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিকভাবে সচেষ্ট আছে। এ বিষয়ে ভর্তি-পরীক্ষা কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহ, ইউনিটভিত্তিক কমিটিসমূহ, আইসিটি সেন্টার, প্রক্টর দপ্তর, ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর, জনসংযোগ দপ্তর, পরিবহণ দপ্তর ও হল প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রশাসন ও পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। এই পরীক্ষা সুশৃংঙ্খলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এসকল কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক সহযোগিতা আশা করছি।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, কখনও কখনও অসাধুচক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের নিকট থেকে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নিয়ে থাকে। তারা কখনও কখনও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমাও রাখে এবং রেজাল্ট শিটে নাম দেখেই অর্থ দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ নিজ যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেয়েও প্রতারণার শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে এমন প্রতারকচক্রের খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছি। এ ধরনের কোনো কিছুর আভাস-ইঙ্গিত পেলে তা যথাশীঘ্র সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতেও পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। এখানে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ আছে। এ সকল অপতৎপরতা রোধে প্রশাসনের গৃহিত পদক্ষেপের পাশাপাশি অতীতের মতো আপনারাও সচেতনতা সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি। কোনো প্রকার জালিয়াতি, কারসাজি বা অশুভ তৎপরতা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে প্রক্টর দপ্তরকে অবহিত করতে আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের তৎপরতা, সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড ও আপনাদের সহযোগিতায় এই ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

প্রসঙ্গত ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, বিষয় ও হল নির্বাচন, মাইগ্রেশনসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এতে করে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফল প্রকাশ করা এবং সর্বোপরি জাল-জালিয়াতি ও কারসাজি রোধ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞগণ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ভর্তি হবার সময়ও প্রতিটি বিভাগ পরীক্ষার্থীর কাগজপত্রসহ ছবিগুলো মিলিয়ে দেখবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত মূল পরিচয়পত্র দেবার সময়ও ঐ পরীক্ষার্থীর ছবি আইসিটি সেন্টার মিলিয়ে দেখবেন। যদি এক্ষেত্রে কোনো অসংঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় তাহলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd/ থেকে দেখা যাবে।

ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপসমূহ:
১. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ৬টি হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. অভিভাবকদের বসার জন্য সর্বমোট ১১টি অভিভাবক টেন্ট তৈরি করা হয়েছে।
৩. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ২টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটসহ ক্যাম্পাসে নির্দিষ্ট স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন সদস্য কর্মরত থাকবে। এছাড়াও। ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার গাইড ও স্টুডেন্টস কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের ১০০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
৫. প্রতিটি একাডেমিক ভবনের প্রবেশ পথে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার গাইড নিয়োজিত থাকবে।
৬. প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে পরীক্ষার আগের দিনগুলোতে টহল ও পরীক্ষার দিনগুলোতে নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরি করা হবে।
৭. ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ৬০ জন কোয়ান্টাম সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
৮. প্রতিবন্ধী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য রোভার স্কাউট ও পিডিএফ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
৯. এস্টেট দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে অস্থায়ী খাবারের দোকান, স্থান নির্ধারণ, মূল্য নির্ধারণে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
১১. পরীক্ষার দিনগুলোতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল বক্স স্থাপন করা হয়েছে।
১২. ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রক্সিকাণ্ডের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রক্টর অফিস কর্তৃক চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমি আপনাদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের বিশেষভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই যে, তারা যেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে অনলাইনে প্রদত্ত দুই পৃষ্ঠার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে A4 মাপের কাগজে রঙিন প্রিন্ট করে নেয়। প্রবেশপত্রের দুই পৃষ্ঠার প্রথম পৃষ্ঠা পরীক্ষার্থীর কপি (Candidate Copy) ও অন্য পৃষ্ঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের কপি (University Copy)। উল্লেখ্য যে, পরীক্ষার সময় এই দুই পৃষ্ঠার প্রবেশপত্র ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের গায়ে উল্লেখিত নির্দেশনাবলী পূর্বেই ভালোভাবে লক্ষ্য করে সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো ধরনের ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ ও মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।

ভর্তি-পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে আছে,

১. কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করা ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল বেগম খালেদা জিয়া হল স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সকল রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে।

২. ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবনগুলোর গেট খুলে দেওয়া হবে।

৩. সকাল ৯:৩০ মিনিটের পর একাডেমিক ভবনগুলোর দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেল ও অটো রিক্সাসহ কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত গাড়িসমূহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।

৪. পরীক্ষার দিন সকাল ৯:৩০ মিনিটের পর চারুকলা গেট দিয়ে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বাজারের রাস্তা হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে।

৫. পরীক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস জুবেরীভবন সংলগ্ন মাঠে পার্কিং করতে হবে এবং ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ সাবাস বাংলাদেশ মাঠে পার্কিং করা যাবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ পার্কিংয়ের জন্য সাবাস বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করবেন।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় বসবাসকারীরা ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন আবাসিক এলাকায় প্রবেশের জন্য শুধুমাত্র কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট ও রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন।