রাতের ভোটের ২২ ডিসি বাধ্যতামূলক অবসরে

- সময় ০৪:১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 37
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ বলেন বিতর্কিত, কেউ বলেন অগ্রহণযোগ্য, আবার কেউ বলেন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ওই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল, যেখানে তৎকালীন ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই প্রতিবাদ জানাননি বা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি।”
তিনি আরও জানান, বিতর্কিত নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার কারণে সরকার এখন সমস্যার মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৪৩ জন ডিসিকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম, তাদের ওএসডি করা হয়েছে। আর যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, “আজ ২২ জন সাবেক ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করা হয়েছে, যারা বর্তমানে সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।”
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আলাদা প্রজ্ঞাপনে ২০১৮ সালে দিনের ভোট আগের রাতে করা সাবেক ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ওএসডি করা হয়। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যুগ্মসচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ওএসডি হয়েছেন এমন সাবেক ৩৩ ডিসি হলেন-চাঁদপুরের মো. মাজেদুর রহমান খান, পটুয়াখালীর মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পঞ্চগড়ের সাবিনা ইয়াসমিন, মেহেরপুরের ড. আতাউল গনি, পিরোজপুরের আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, সিলেটের এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল।
পৃথক আদেশে লক্ষ্মীপুরের অঞ্চন চন্দ্র পাল, কুড়িগ্রামের মোছা. সুলতানা পারভিন, কিশোরগঞ্জের মো. সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী, খাগড়াছড়ির মো. শহীদুল ইসলাম, খুলনার মো. হেলাল হোসেন এবং মাগুরার ডিসি মো. আলী আকবরকে ওএসডি করা হয়েছে।
অপর এক আদেশে বান্দরবানের মোহাম্মদ দাউদ ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এজেএম নুরুল হক, বরিশালের এজেডএম অজিয়র রহমান, ভোলার মোহাম্মদ আলম ছিদ্দিকী এবং চুড়াডাঙ্গার ডিসি গোপল চন্দ্র দাসকে ওএসডি করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে শরীয়তপুরের কাজী আবু তাহের, নওগাঁর মো. মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, শেরপুরের আনার কলি মাহবুব, নরসিংদির সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এবং হবিগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল কবির মুরাদকে ওএসডি করা হয়েছে।
অপর এক আদেশে কুমিল্লার আবুল ফজল মীর, নেত্রকোনার মঈন উল ইসলাম, ফেনীর ওয়াহেদুজ্জামান, রাঙামাটির একেএম মামুনুর রশিদ, রাজশাহীর এসএম আব্দুল কাদের এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিমকে ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক এক আদেশে বগুড়ার কবীর মাহমুদ, দিনাজপুরের মো. মাহমুদুল আলম এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত উদ দৌলা খানকে ওএসডি করা হয়েছে।