০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানেও থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১১:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 30

থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ

পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ। গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে অবরুদ্ধ এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকেই। গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। খবর আল জাজিরার।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।

অভিযানের নামে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনাই ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ
থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৩২ জন।

তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আর বেঁচে নেই।

এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রচারমাধ্যম কানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযোগ হামাসের যোদ্ধারা পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শেয়ার করুন

রমজানেও থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ

সময় ১১:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ। গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে অবরুদ্ধ এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকেই। গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। খবর আল জাজিরার।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।

অভিযানের নামে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনাই ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ
থেমে নেই ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৩২ জন।

তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আর বেঁচে নেই।

এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রচারমাধ্যম কানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযোগ হামাসের যোদ্ধারা পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।