রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহী সত্যিই দুর্বার!
- সময় ০৮:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
- / 25
মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ৩৪তম ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ইনিংস শুরুর আগেই তুমুল আলোচনায় ছিল দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক পাননি বলে দলটির ক্রিকেটারদের মাঠে আসা নিয়ে শঙ্কা ছিল।
অবশেষে বিদেশি খেলোয়াড়দের ছাড়াই মিরপুর স্টেডিয়ামের বাস ধরেছিলেন দলটির দেশি ক্রিকেটাররা। ফলে বাধ্য হয়ে এবং অত্যন্ত সাহস বুকে নিয়ে ১১ জন দেশি ক্রিকেটার নিয়েই রংপুরের বিপক্ষে মাঠে নামে তাসকিন আহমেদ।
তবে ম্যাচের টস হওয়ার পর বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে এই ম্যাচে ১১ দেশি ক্রিকেটার নিয়েই খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে রাজশাহীকে। এমন বিষাদগ্রস্ত ম্যাচেই বিতর্ক পেছনে ফেলে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে ২ রানে হারিয়ে দিয়েছে রাজশাহী।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল দলটি। তবে ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফর্মের ফলে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দুর্বার রাজশাহী ১১৯ রানের পুঁজি পায়। ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েই রীতিমতো রংপুরকে কাঁপিয়ে দেন তাসকিন-মৃত্যুঞ্জয়রা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিনের বোলিং আক্রমণে মাঠ থেকে সাঝঘরে গেরেন রংপুরের অধিনায়ক স্টিভেন টেলর।
এরপর সাইফ হাসানও স্থিতিশীল হতে পারেননি। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ের বলে শূন্য রানে উইকেট কিপার সোহানকে ক্যাচ দেন। এরপর গ্লোবাল সুপার লিগ জেতানো সৌম্য সরকারও দলটির হতাশা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইনজুরির কারণে বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারেননি তিনি। রংপুরের পক্ষে মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে ১৩ বলে মাত্র ৮ রান করে মাঠ থেকে বিদায় নেন তিনি। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
একই ওভারের শেষ বলে শেখ মেহেদী রান নেওয়ার আগেই আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। লাফিয়ে সেই ক্যাচ মুঠোয় নিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার আকবর। এরপর ২ রান করে ফিরলে নুরুল হাসান সোহান। ৩০ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ১৪ রান সংগ্রহ করে ফেরেন ইফতিখার আহমেদ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে মোহর শেখ অন্তর থিতু হতে দেননি খুশদিলকে।
৩১ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি রংপুরের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ পর্যায়ে ইনিংসের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি। তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন রাকিবুল। তবে তাও জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। ২১ বলে ২০ রান করা রাকিবুলকে ১৯তম ওভারে ফেরান তাসকিন। তাতে করে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি ভাঙে। সাইফউদ্দিন খেলেন ৩১ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এর আগে আকবর আলীর ১৯ ও সানজামুল ইসলামের অপরাজিত ২৮ রানে কোনো মতে ১০০ পেরুনো ইনিংস দাঁড় করায় রাজশাহী। অধিনায়ক তাসকিনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। নবম উইকেটে সানজামুল ও তাসকিন মিলে যোগ করেন ১৯ রান। আর দশম উইকেটে সানজামুল ১৬ রান যোগ করেন মোহরকে নিয়ে। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত হয় দলটির। রংপুরের হয়ে ৩টি উইকেট নেন খুশদিল। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন ও রাকিবুল হাসান। একটি উইকেট যায় আকিফ জাভেদের ঝুলিতে।