স্লোগান দিয়ে ৪৮ ঘণ্টায় ৩ জেলায় মন্দিরে হামলা-হত্যা
- সময় ০৪:২২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 40
গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসকন বিরোধী স্লোগান দিয়ে ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, নাটোরে জেলার অন্তত ৪ টি মন্দিরে হামলা হয়েছে। ৮ মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেবায়েত তরুণ চন্দ্র দাসকেও হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় শাকুয়াই এলাকার বন্দেরপাড়া মন্দিরের ২টি মূর্তি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। বিলডোরা এলাকায় পলাশকান্দা কালী মন্দিরেও মূর্তি হামলা হয়। এই মন্দিরের প্রধান সুভাষচন্দ্র সরকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খয়ের জানান, মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলা হয়েছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরেও। সেখানে ৫টি মূর্তি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় হিন্দুরা। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায়। স্থানীয়দের দাবি, মন্দির ভাঙচুরের সময় দুষ্কৃতীরা ইসকন বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। ফলে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩ মন্দির আক্রান্ত হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে।
এদিকে নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার সেবায়েত তরুণ চন্দ্র দাসকেও হত্যা করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে মন্দিরে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত তরুণ চন্দ্র দাস (৫৫) নাটোর শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়া মহল্লার মৃত কালিপদ দাসের ছেলে। তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে মহাশ্মশান মন্দিরেই থাকতেন।
মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্য নারায়ণ রায় টিপু সেবায়েত হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে মহাশ্মশান মন্দিরেরর সদস্যরা ভোগ ঘরে গেলে সেবায়েত তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান। তরুণ ২৩ বছর ধরে মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সত্য নারায়ণ রায় টিপু বলেন, ‘মন্দিরের দান বাক্সের ও ভান্ডার ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং গ্রিল কাটা ছিল। সম্ভবত তরুণকে হত্যা করে ডাকাতরা মন্দিরের টাকা এবং কাঁসা পিতলের বাসনপত্র নিয়ে গেছে।’
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মহাশ্মশান থেকে একজনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহাশ্মশানের ভান্ডার ঘরের মালামাল লুটের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সম্ভবত চুরি বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।’