ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্ধ থাকবে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি

যে শর্তে বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
  • সময় ০২:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 143

বান্দরবান জেলা প্রশাসক

অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণের দুয়ার খুলছে। টানা এক মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে বান্দরবানে চার উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এখনও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এ তিন উপজেলা। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।

বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান সদরে ৭৪টি সহ মোট ৯৭টি হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী বান্দরবান ছেড়ে চলে গেছেন।

বান্দরবান ২
বান্দরবান ২

পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখানে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে এসেসমেন্ট শেষ হলে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি- এই তিন উপজেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল ৭ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা বান্দরবানের সদর, নীলগিরি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা ভ্রমণ করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

বন্ধ থাকবে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি

যে শর্তে বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

সময় ০২:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণের দুয়ার খুলছে। টানা এক মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে বান্দরবানে চার উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এখনও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এ তিন উপজেলা। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।

বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান সদরে ৭৪টি সহ মোট ৯৭টি হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী বান্দরবান ছেড়ে চলে গেছেন।

বান্দরবান ২
বান্দরবান ২

পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখানে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে এসেসমেন্ট শেষ হলে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি- এই তিন উপজেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল ৭ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা বান্দরবানের সদর, নীলগিরি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা ভ্রমণ করতে পারবেন।