ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে নৌকা ডুবে গেছে তা আর কখনও ভাসবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১০:০২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 27

হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “যে নৌকা ডুবে গেছে তা আর কখনও ভাসবে না।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির পরিসমাপ্তি ঘটেছে। প্রথম ধাপে তাদের নিবন্ধন বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি, যা তাদের রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করবে। আমরা এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যে পেয়েছি।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “আমরা আর আওয়ামী লীগের অপশাসনের ধারা চাই না। এ থেকে মুক্তি পেতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মের প্রতি এটি আমাদের নৈতিক দায়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “যদি কোনো রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরও দায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক নেতা নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছেন। কিন্তু আমরা খুনি দলের সঙ্গে কোনো আপস করব না।”

এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারাও অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুঈদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

শেয়ার করুন

যে নৌকা ডুবে গেছে তা আর কখনও ভাসবে না

সময় ১০:০২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “যে নৌকা ডুবে গেছে তা আর কখনও ভাসবে না।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির পরিসমাপ্তি ঘটেছে। প্রথম ধাপে তাদের নিবন্ধন বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি, যা তাদের রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করবে। আমরা এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যে পেয়েছি।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “আমরা আর আওয়ামী লীগের অপশাসনের ধারা চাই না। এ থেকে মুক্তি পেতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মের প্রতি এটি আমাদের নৈতিক দায়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “যদি কোনো রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরও দায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক নেতা নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছেন। কিন্তু আমরা খুনি দলের সঙ্গে কোনো আপস করব না।”

এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারাও অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুঈদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।