ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দেশের পুরুষ ও নারীরা সবচেয়ে আকর্ষণীয়

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১০:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • / 268

লম্বা পুরুষরা বরাবরই আকর্ষণীয় হন। বিশেষ করে জীবনসঙ্গী হিসেবে লম্বা পুরুষ কিংবা নারীর স্বপ্ন দেখেন কমবেশি সব মানুষ। কিন্তু পৃথিবীর কোথায় পাওয়া যাবে সেসব পুরুষ কিংবা নারীদের।

গবেষণা বলছে, শারীরিক উচ্চতা নিয়ে যে যত বড়াই করুন না কেন, আসল বড়াইটা বুক ফুলিয়ে করতে পারেন নেদারল্যান্ডসের পুরুষ আর লাটভিয়ার নারীরা।

ইলাইফ জার্নালের এক গবেষণায় বলা হয়, এতে বলা হয়, ডাচ্ পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। আর লাটভিয়ার নারীরা গড়ে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা হন। ১৯১৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮৭টি দেশের মানুষের লম্বা হওয়ার প্রবণতার তথ্য যাচাই করে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইরানের পুরুষ ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের সবচেয়ে লম্বা হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ইরানের পুরুষেরা গড়ে ৬ ইঞ্চি ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়েছেন।

১৯১৪ সালে শারীরিক উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষদের অবস্থান ছিল তৃতীয় ও নারীর তালিকায় অবস্থান ছিল চতুর্থ। এখন তা অনেক পিছিয়ে যথাক্রমে ৩৭তম ও ৪২তম অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে খাটো পুরুষের দেশ পূর্ব তিমুর। তাদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। আর সবচেয়ে খাটো নারীর দেশ গুয়াতেমালা। ১৯১৪ সালে দেশটির ১৮ বছর বয়সী তরুণীর গড় উচ্চতা ছিল ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর বর্তমানে এই উচ্চতা একটু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ ফুট ১১ ইঞ্চিতে। পূর্ব এশিয়ার জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারী-পুরুষের গড় উচ্চতা গত ১০০ বছরে একটু বেড়েছে।

গবেষণা সহকারী ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক জেমস বেনথাম বিবিসিকে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এবং সাব-সাহারা অঞ্চলের নারী-পুরুষদের গড় উচ্চতা গত ১০০ বছরে তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। সর্বোচ্চ ১ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তাদের উচ্চতা বেড়েছে। উগান্ডা ও সিয়েরা লিওনের নারী-পুরুষের গড় উচ্চতা বাড়ার পরিবর্তে ১৯৭০ সালের পর থেকে কিছুটা কমেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বংশগতির প্রভাব মানুষের গড় উচ্চতাকে দ্রæত পরিবর্তন করে দিতে পারে না। সময় ও পরিবেশগত কারণেই মূলত হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যাপারটি ঘটে থাকে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পুষ্টি এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়েদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিও একটি বড় নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লম্বা মানুষের আয়ু বেশি হয়ে থাকে। তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম থাকে। অন্যদিকে প্রমাণ পাওয়া গেছে, লম্বা মানুষদের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।

শারীরিক উচ্চতায় লম্বা পুরুষের দেশের তালিকায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে – নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, ডেনমার্ক, বসনিয়া – হারজেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, আইসল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র।

আর লম্বা নারীর তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো পর্যায়ক্রমে লাটভিয়া, নেদারল্যান্ডস, এস্তোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, সার্বিয়া,স্লোভাকিয়া, ডেনমার্ক, লিথুয়ানিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন।

শেয়ার করুন

যে দেশের পুরুষ ও নারীরা সবচেয়ে আকর্ষণীয়

সময় ১০:৪৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

লম্বা পুরুষরা বরাবরই আকর্ষণীয় হন। বিশেষ করে জীবনসঙ্গী হিসেবে লম্বা পুরুষ কিংবা নারীর স্বপ্ন দেখেন কমবেশি সব মানুষ। কিন্তু পৃথিবীর কোথায় পাওয়া যাবে সেসব পুরুষ কিংবা নারীদের।

গবেষণা বলছে, শারীরিক উচ্চতা নিয়ে যে যত বড়াই করুন না কেন, আসল বড়াইটা বুক ফুলিয়ে করতে পারেন নেদারল্যান্ডসের পুরুষ আর লাটভিয়ার নারীরা।

ইলাইফ জার্নালের এক গবেষণায় বলা হয়, এতে বলা হয়, ডাচ্ পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। আর লাটভিয়ার নারীরা গড়ে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা হন। ১৯১৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮৭টি দেশের মানুষের লম্বা হওয়ার প্রবণতার তথ্য যাচাই করে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইরানের পুরুষ ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের সবচেয়ে লম্বা হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ইরানের পুরুষেরা গড়ে ৬ ইঞ্চি ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়েছেন।

১৯১৪ সালে শারীরিক উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষদের অবস্থান ছিল তৃতীয় ও নারীর তালিকায় অবস্থান ছিল চতুর্থ। এখন তা অনেক পিছিয়ে যথাক্রমে ৩৭তম ও ৪২তম অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে খাটো পুরুষের দেশ পূর্ব তিমুর। তাদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। আর সবচেয়ে খাটো নারীর দেশ গুয়াতেমালা। ১৯১৪ সালে দেশটির ১৮ বছর বয়সী তরুণীর গড় উচ্চতা ছিল ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর বর্তমানে এই উচ্চতা একটু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ ফুট ১১ ইঞ্চিতে। পূর্ব এশিয়ার জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারী-পুরুষের গড় উচ্চতা গত ১০০ বছরে একটু বেড়েছে।

গবেষণা সহকারী ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক জেমস বেনথাম বিবিসিকে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এবং সাব-সাহারা অঞ্চলের নারী-পুরুষদের গড় উচ্চতা গত ১০০ বছরে তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। সর্বোচ্চ ১ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তাদের উচ্চতা বেড়েছে। উগান্ডা ও সিয়েরা লিওনের নারী-পুরুষের গড় উচ্চতা বাড়ার পরিবর্তে ১৯৭০ সালের পর থেকে কিছুটা কমেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বংশগতির প্রভাব মানুষের গড় উচ্চতাকে দ্রæত পরিবর্তন করে দিতে পারে না। সময় ও পরিবেশগত কারণেই মূলত হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যাপারটি ঘটে থাকে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পুষ্টি এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়েদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিও একটি বড় নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লম্বা মানুষের আয়ু বেশি হয়ে থাকে। তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম থাকে। অন্যদিকে প্রমাণ পাওয়া গেছে, লম্বা মানুষদের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।

শারীরিক উচ্চতায় লম্বা পুরুষের দেশের তালিকায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে – নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, ডেনমার্ক, বসনিয়া – হারজেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, আইসল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র।

আর লম্বা নারীর তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো পর্যায়ক্রমে লাটভিয়া, নেদারল্যান্ডস, এস্তোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, সার্বিয়া,স্লোভাকিয়া, ডেনমার্ক, লিথুয়ানিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন।