হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের কাছে দুইবার ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির পর নিজ হাতেই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন অভিযুক্ত গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান আক্তারকে (৪০)।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আক্তারকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আক্তরুজ্জামান আক্তার ফুলছড়ি উপজেলার পারুলের চর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোগরব আলীর ছেলে। বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের মা আসমা সাত্তার মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মৃত্যুবরণ করায় তার দাফন কাফন করার জন্য নিজ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

১ জানুয়ারি বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে যখন বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকার তার বাসভবনের সামনে একাকি হাঁটছিলেন। এ সময় মো. আক্তারুজ্জামান উপস্থিত হয়ে বিচারপতির কাছে চাঁদা দাবি করেন। পরে বিচারপতি নিজ উদ্যোগে তাকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “বিচারপতির কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রাসঙ্গিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারপতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকার।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে অভিযুক্ত ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিচারপতির কাছে একই পরিমাণ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নান্টু বলেন, “বিএনপি একটি শান্তির দল। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুবদল ও স্থানীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোচনা চলছে। বিচারপতির নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার ফুলছড়ি উপজেলা জামায়াত নেতা ও ফুলছড়ি কলেজের প্রভাষক ইউসুফ আলীর আপন ছোট ভাই। ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান বিএনপি এবং বড় ভাই ইউসুফ আলী জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।