ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ

যে কারণে উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৯ কৃষক

কক্সবাজার, প্রতিনিধি
  • সময় ০১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 248

কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ জন কৃষক অপহরণের ২৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার জানান,অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করছে ফোনে।

তবে পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে জানান তারা। পুলিশ অভিযানে গেলে পুলিশের সাথে স্থানীয় জনতাও উদ্ধার অভিযানে পাহাড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে পুলিশের নীরব ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনতা।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে অপহৃতদের বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনতা একথা জানান।

তারা বলেন, শনিবার পুলিশ এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম ঠিকানা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে পুলিশের দেখা মেলেনি। তবে পুলিশ এখন কি করছে তাও জানি না। রাতে অপহরণকারীরা ফোনে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। যদি টাকা দিতে না পারি লাশ বাড়িতে পাঠাবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফিজিক্যাল এবং টেকনিক্যাল দু’ভাবেই অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টারদিকে দুই রোহিঙ্গাসহ ৯ জন কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছে। উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।

অপহৃতরা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম,আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, স্থানীয় ৭ জন অপহরণ হয়েছে বলে শুনলাম, পাহাড়ের পদদেশে ক্ষেত খামারে কাজ করার সময় তাদেরকে অপহরণকারীরা ধরে নিয়ে যায়, আমি টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ ঘটনা স্থলে যাচ্ছে বলে আমাকে জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ

যে কারণে উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৯ কৃষক

সময় ০১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ জন কৃষক অপহরণের ২৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার জানান,অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করছে ফোনে।

তবে পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে জানান তারা। পুলিশ অভিযানে গেলে পুলিশের সাথে স্থানীয় জনতাও উদ্ধার অভিযানে পাহাড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে পুলিশের নীরব ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনতা।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে অপহৃতদের বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনতা একথা জানান।

তারা বলেন, শনিবার পুলিশ এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম ঠিকানা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে পুলিশের দেখা মেলেনি। তবে পুলিশ এখন কি করছে তাও জানি না। রাতে অপহরণকারীরা ফোনে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। যদি টাকা দিতে না পারি লাশ বাড়িতে পাঠাবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফিজিক্যাল এবং টেকনিক্যাল দু’ভাবেই অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টারদিকে দুই রোহিঙ্গাসহ ৯ জন কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছে। উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।

অপহৃতরা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম,আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, স্থানীয় ৭ জন অপহরণ হয়েছে বলে শুনলাম, পাহাড়ের পদদেশে ক্ষেত খামারে কাজ করার সময় তাদেরকে অপহরণকারীরা ধরে নিয়ে যায়, আমি টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ ঘটনা স্থলে যাচ্ছে বলে আমাকে জানিয়েছেন।