০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যে টিউলিপের অবৈধ তহবিল জব্দে কাজ করছে দুদক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১২:২৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 34

টিউলিপ সিদ্দিক

যুক্তরাজ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক যে অবৈধ তহবিল তৈরি করেছেন, তা জব্দ করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে টিউলিপ সিদ্দিকের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই তদন্তের পরিধি ১২টি দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে। তদন্তের আওতায় রয়েছে অভিযোগ যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা, যার মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিকও অন্তর্ভুক্ত, রাশিয়ার সাথে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়ে ব্যবহার করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পেছনে তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সম্পৃক্ততা এবং সম্ভাব্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের কারণে সৃষ্ট বিতর্ক ভূমিকা রেখেছে। যদিও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাননি, তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে তিনি আরও সতর্ক হতে পারতেন।

তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তার সাথে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। তিনি এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে, দুদক বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। তদন্তের অংশ হিসেবে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্মকর্তারা সম্প্রতি ঢাকায় দুদকের তদন্তকারীদের সহায়তা করেছেন।

শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যে টিউলিপের অবৈধ তহবিল জব্দে কাজ করছে দুদক

সময় ১২:২৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাজ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক যে অবৈধ তহবিল তৈরি করেছেন, তা জব্দ করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে টিউলিপ সিদ্দিকের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই তদন্তের পরিধি ১২টি দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে। তদন্তের আওতায় রয়েছে অভিযোগ যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা, যার মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিকও অন্তর্ভুক্ত, রাশিয়ার সাথে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়ে ব্যবহার করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পেছনে তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সম্পৃক্ততা এবং সম্ভাব্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের কারণে সৃষ্ট বিতর্ক ভূমিকা রেখেছে। যদিও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাননি, তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে তিনি আরও সতর্ক হতে পারতেন।

তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তার সাথে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। তিনি এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে, দুদক বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। তদন্তের অংশ হিসেবে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্মকর্তারা সম্প্রতি ঢাকায় দুদকের তদন্তকারীদের সহায়তা করেছেন।