য়েটার থেকে শীর্ষ ধনীদের একজন | Jensen Huang
- সময় ০৭:৫৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
- / 256
একসময় কাজ করতেন রেস্তোরাঁর ওয়েটার হিসেবে। বিশ্বের নামি-দামি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কোন ডিগ্রিও ছিলো না। সেই ব্যক্তিটিই কিনা এখন ভারতের মুকেশ আম্বানি কিংবা রতন টাটার চেয়েও ধনী। মনে হতে পারে গল্পটি কোন সিনেমার। কিন্তু বিষয়টি একদমই তেমন নয়।
গল্পটি জিপিইউ ও কম্পিউটার চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের কথা। জেনসেন হুয়াং এখন বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তি।
বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, হুয়াংয়ের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ এখন প্রায় ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার তালিকায় এটি এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ অবস্থান। এ তালিকা অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটার চেয়েও বেশি ধনী গেøাবাল এ টেক সুপারস্টার।
মাইক্রোসফট ও অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এনভিডিয়া। এখন কোম্পানিটির বাজারমূল্য প্রায় ৩ দশমিক ৩৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি মাসে চিপমেকার এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারমূল্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৩৫ দশমিক ৫৮ ডলারে পৌঁছায়।
ওয়াল স্ট্রিটে সর্বাধিক ব্যবসা করা কোম্পানি এখন এনভিডিয়া, যার গড় দৈনিক টার্নওভার ৫০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরেই এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ১৮২ ভাগ। আর গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য বেড়েছিল তিনগুণ।
জেনসেন হুয়াং ১৯৬৩ সালে তাইওয়ানের তাইনানে জন্মগ্রহণ করেন। তার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার পরিবার থাইল্যান্ডে চলে আসে এবং নয় বছর বয়সে তাকে এবং তার ভাইকে ওয়াশিংটনের টাকোমায় এক চাচার কাছে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
জেনসেন তার প্রাথমিক শিক্ষা কেন্টাকির ওনিডা এলিমেন্টারি স্কুল থেকে এবং ¯œাতক পোর্টল্যান্ডের কাছাকাছি আলোহা হাই স্কুল থেকে পাস করেন। ১৯৮৪ সালে হুয়াং ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে উপস্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তবে সাফল্য খুব একটা সহজে ধরা দেয়নি জেনসেনের কাছে। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বাসবয় হিসেবে। তারপর যোগ দেন ডেনি’স একটি রেস্তোরাঁতে। প্রথমে ডিশওয়াশার এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে ওয়েটার হিসেবে কাজ করেন সেখানে।
তবে স্বপ্ন যার বড় হওয়ার সে কি বসে থাকেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ক্রিস মালাচোস্কি এবং কার্টিস প্রাইমের সাথে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৭ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে ২৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার বেতনসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৬১তম সর্বোচ্চ বেতনভোগী সিইও হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।