ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদির পর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৬:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 17

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকির মাত্র ৭ দিনের মাথায় আবারো নতুন করে হুমকি এসেছে। এবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (আরবিআই) বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ বলেছে, বোমা হামলার হুমকির বিষটি তদন্ত করে দেখছে মুম্বাই পুলিশ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আরবিআই-এর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সঞ্জয় মালহোত্রা। তাঁর সরকারি ই-মেইলে বোমা হামলার হুমকিটি এসেছে। মুম্বাই পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটি মামলা নথিভুক্ত করেছি। এখন তদন্ত চলছে।

চলতি বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতে স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও বিমানে শত শত বোমা হামলার হুমকি এসেছে। তবে বেশির ভাগ হুমকিই পরবর্তীতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি
নরেন্দ্র মোদি

গত সোমবারেও দিল্লির অন্তত ৪০টি স্কুলের ই–মেইলে বোমা হামলার হুমকি আসে। এমনকি আজ শুক্রবারেও দিল্লির অন্তত ৬টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি এসেছে। এর মধ্যে দিল্লি পাবলিক স্কুল, সালওয়ান স্কুল, মডার্ন স্কুল ও ক্যামব্রিজ স্কুল অন্যতম।

এ ছাড়া ভারতের উড়োজাহাজ সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ১ হাজারের বেশি ভুয়া বোমা হামলার হুমকি এসেছে। এটি ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। মুম্বাই পুলিশ তখন হুমকির বার্তায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের ভাষ্যমতে, মুম্বাইয়ের ট্রাফিক পুলিশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকির বার্তাটি পাঠানো হয়। বার্তাটি রাজস্থান রাজ্যের আজমির শরিফ থেকে এসেছে। কে বার্তাটি পাঠিয়েছেন, তা শনাক্ত করতে সেখানে একটি দল পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে হুমকির বেশির ভাগ বার্তাই পাঠান মাদকাসক্ত বা মানসিকভাবে অসুস্থ লোকজন। আর অধিকাংশ বার্তা আসে মুম্বাই পুলিশের একমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ওই নম্বর হেল্পলাইন হিসেবে ব্যবহার করে মুম্বাইয়ের ট্রাফিক পুলিশ।

শেয়ার করুন

মোদির পর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি

সময় ০৬:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকির মাত্র ৭ দিনের মাথায় আবারো নতুন করে হুমকি এসেছে। এবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (আরবিআই) বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ বলেছে, বোমা হামলার হুমকির বিষটি তদন্ত করে দেখছে মুম্বাই পুলিশ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আরবিআই-এর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সঞ্জয় মালহোত্রা। তাঁর সরকারি ই-মেইলে বোমা হামলার হুমকিটি এসেছে। মুম্বাই পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটি মামলা নথিভুক্ত করেছি। এখন তদন্ত চলছে।

চলতি বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতে স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও বিমানে শত শত বোমা হামলার হুমকি এসেছে। তবে বেশির ভাগ হুমকিই পরবর্তীতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি
নরেন্দ্র মোদি

গত সোমবারেও দিল্লির অন্তত ৪০টি স্কুলের ই–মেইলে বোমা হামলার হুমকি আসে। এমনকি আজ শুক্রবারেও দিল্লির অন্তত ৬টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি এসেছে। এর মধ্যে দিল্লি পাবলিক স্কুল, সালওয়ান স্কুল, মডার্ন স্কুল ও ক্যামব্রিজ স্কুল অন্যতম।

এ ছাড়া ভারতের উড়োজাহাজ সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ১ হাজারের বেশি ভুয়া বোমা হামলার হুমকি এসেছে। এটি ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। মুম্বাই পুলিশ তখন হুমকির বার্তায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের ভাষ্যমতে, মুম্বাইয়ের ট্রাফিক পুলিশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকির বার্তাটি পাঠানো হয়। বার্তাটি রাজস্থান রাজ্যের আজমির শরিফ থেকে এসেছে। কে বার্তাটি পাঠিয়েছেন, তা শনাক্ত করতে সেখানে একটি দল পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে হুমকির বেশির ভাগ বার্তাই পাঠান মাদকাসক্ত বা মানসিকভাবে অসুস্থ লোকজন। আর অধিকাংশ বার্তা আসে মুম্বাই পুলিশের একমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ওই নম্বর হেল্পলাইন হিসেবে ব্যবহার করে মুম্বাইয়ের ট্রাফিক পুলিশ।