মোংলা কাস্টমসের রাজস্ব ঘাটতি ৭৩১ কোটি

- সময় ০৪:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / 24
চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই- জানুয়ারি) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি মোংলা কাস্টমস। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এক হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।
আর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭৩১ কোটি টাকা। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা–বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার ম. সফিউজ্জামান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণ হিসেবে গত অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় মোংলা বন্দরে ৫০টি জাহাজ কম এসেছে। যার মধ্যে সার ও ক্লিংকারবাহী জাহাজ ৪১টি, একটি গাড়ি এবং ৮টি কন্টেইনার জাহাজ। একই সাথে ২৪ শতাংশ বিল অফ এন্ট্রি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও কমেছে।

তিনি আরও বলেন, মোংলা কাস্টমসের ৫৭ ভাগ রাজস্ব আসে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানির মাধ্যমে। গত বছরের প্রথম সাত মাসে গাড়ি খালাস হয়েছে ৭,৮৫৮টা। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে ৬,০৬৩টা গাড়ি খালাস হয়। ১৭৯৫টা গাড়ি খালাস কম হওয়ায় আনুপাতিক হারে রাজস্ব কমে গেছে।
এছাড়া গত অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে কন্টেইনার এসেছিল ৫,৬০০টি। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের ঠিক একই সময়ে কন্টেইনার এসেছে ২,০১৮টি। ৩,৪০০টি কন্টেইনার কম খালাস হওয়ায় রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। অপরদিকে গত অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে বিল অফ এন্ট্রি হয়েছে ১০,৪০০টি। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে ২৪ শতাংশ কমে ৭,৮৩৫ বিল অফ এন্ট্রি হওয়ায় রাজস্ব কম আদায় হয়েছে বলেও জানান কাস্টমস কমিশনার ম. সফিউজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মোংলা কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় হয়েছিল চার হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। আর ৩২ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করা হয়েছে ছয় হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম সাত মাসে তিন হাজার ৬২৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আদায় হয়েছে এক হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এখানে রাজস্ব কমেছে এক হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। এছাড়া গেল অর্থ বছরের তুলনায় একই সময়ে রাজস্ব কমে ঘটতির পরিমান দাড়িয়েছে ৭৩১ কোটি টাকা।
এদিকে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ও মশিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এলসি খোলায় কড়াকড়ি ও আমদানি নিয়ন্ত্রনের কারনই এমন পরিস্থিতি। অধিক শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানিতে জটিলতা নিরসনসহ কতিপয় কাস্টমস কর্মকর্তার হয়রানি কমাতে পারলে মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি বাড়বে। একই সাথে রাজস্ব বাড়বে মোংলা কাস্টমসের।