ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 20

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বিজয় দিবস নিয়ে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রল বাংলাদেশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিজয় দিবস নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত তার বইয়ে ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড : ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে লিখেছেন, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারা।

এতে বলা হয়, ওসমানির অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচি অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল, তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল। যাতে করে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল যা ভারত এড়াতে পারত। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারত।

এত আরও বলা হয়, আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি; আমরা সত্য উদযাপন করি।

শেয়ার করুন

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সময় ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজয় দিবস নিয়ে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রল বাংলাদেশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিজয় দিবস নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত তার বইয়ে ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড : ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে লিখেছেন, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারা।

এতে বলা হয়, ওসমানির অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচি অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল, তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল। যাতে করে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল যা ভারত এড়াতে পারত। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারত।

এত আরও বলা হয়, আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি; আমরা সত্য উদযাপন করি।