মিয়ানমার ইস্যুতে দুই উপদেষ্টার কথার মিল নেই
- সময় ০৫:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 32
মিয়ানমারে উদ্ভূত যুদ্ধাবস্থা বিশেষ করে আরাকান রাজ্যের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার কথার মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি বলেছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ এটা করতে পারে না। কিন্তু মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশটির সরকারে থাকা জান্তার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
১৯ ডিসেম্বর মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যাংককে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। পররাষ্ট্র মন্ত্রী/সচিব পদমার্যাদার ওই বৈঠকে চীন এবং ভারতের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি দুই দেশ। হতাশা নিয়ে দেশে ফিরে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করছে কিনা বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি না উত্তর দিয়েছিলেন তৌহিদ হোসেন। আরাকান আর্মি মিয়ানমার রাষ্ট্রের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি, তাই তাদের সাথে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
কিন্তু আজ টেকনাফ সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। তাই দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির পাশাপাশি সরকারে থাকা জান্তার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।
এসময় তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয়দের ভয় না পেতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই এলাকা মাদকের জন্য বিখ্যাত। বদিও (সাবেক এমপি) মাদকের জন্য বিখ্যাত পুরো বাংলাদেশে। এটা এখনকার সমস্যা না, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যা পুরো দেশের জন্য সমস্যা। মাদক নির্মুলে সকলের সহযোগিতা দরকার। এটা একা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্মুল করতে পারবে না।
এর আগে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হেলিকপ্টর যোগে ঢাকা থেকে টেকনাফে পৌঁছান। পরে ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। তার সাথে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।