মা হাতির করুণ মৃত্যু, কার দুধ খাচ্ছে শাবক?
- সময় ১২:২৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
- / 19
একজন মায়ের জন্য পৃথিবীর আনন্দের মুহুর্তের সংখ্যা নিরুপণ করলে সবচে এগিয়ে থাকবে সন্তানদানের সময়টা। প্রতিটি মানুষের চূড়ান্ত ঝুঁকি থাকে, যেমনটা মানুষের বেলায় হয়। পরিবারের সবাই উৎকণ্ঠায় থাকে। মা প্রসববেদনায় ছটফট করে, পাশে কেউ না কেউ থাকে। কিন্তু গহীন অরণ্যেও এই মাত্যৃকোড়ে জন্ম নেয়া প্রাণিকূলের হিসাব এবং অনুভূতি একই।
প্রাণীরা মানুষের চেয়ে ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। সংঘবদ্ধ হয়ে থাকা, নিজের প্রজাতিকে রক্ষা করার দারুণ সক্ষমতা রয়েছে প্রাণিকূলের। মায়ের কোলেই সন্তানের মৃত্যু হলে সেই মা আক্ষরিক অর্থে পৃথিবীতে বেঁচে থাকেন, কিন্তু তার মন প্রায় মরে যায়। সন্তান হারানোর বেদনায় প্রতি মুহুর্ত মাকে জ্বালায়। মা যখনই খেতে যায়, সন্তানের কথা মনে পড়ে।
মা কেন সেরা? এ প্রশ্নের উত্তরও লুকিয়ে না, প্রকাশ্যেই থাকে প্রতি সন্তানের কাছে। পৃথিবীর সব মায়েরা সেরা মা। কারণ মা তার নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করেন। এমনই কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে টেকনাফের গহীন অরন্যে। সন্তান প্রসব করেই সন্তানকে রেখে মা চলে গেল পরপারে।
কক্সবাজারের টেকনাফ বন বিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জের হরিখোলা গহীন বনে বাচ্চা প্রসব শেষে এক মা হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চা শাবক হাতিটি বেঁচে আছে। খবর শুনে বন বিভাগের লোকজন হাতির শাবককে উদ্ধার করে হোয়াইক্যং রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসেন। তাকে আপাতত গরুর দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
রোববার রাতে হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মিনার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার দুপুরেও কথা হয়ে বাংলা অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে তার।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতায় হরিখোলা গহীন পাহাড়ে একটি বন্য মা হাতির বাচ্চা শাবক প্রসব করার সময় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিকালে হোয়াইক্যং বিটের বন বিভাগের সদস্যরা পাহাড়ে পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে হাতির বাচ্চা শাবকটি উদ্ধার করে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসেন। পাশাপাশি মৃত মা হাতিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
মিনার চৌধুরী সোমবার আরও জানান, উদ্ধার হওয়া হাতির বাচ্চা শাবকটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।