ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালদ্বীপের পর্যটন খাত যে কারণে এগিয়ে

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / 251

ছাট ছোট অসংখ্য দ্বীপ। চারদিকে নারকেল-সুপারি গাছ আর নীল সাগর থেকে আসা মিষ্টি হাওয়া। বলছিলাম- দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের কথা।

দেশটির অর্থনীতির অন্যতম খাত পর্যটন। যে কারণে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে সব ধরনের আয়োজন নিয়ে বসে থাকে দেশটি। বছরে এই খাত থেকে দেশটি প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। যা দেশটির মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ।

দেশটি ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে ২০২৩ সালে ১৮ লাখ নতুন পর্যটক আকর্ষণ করেছে।

দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে টেকসই পর্যটন নীতিমালার ওপর জোর দিয়ে থাকে।

দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৩ হাজার ৯২৩ বাংলাদেশি ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রটি ভ্রমণে গিয়েছিল, ২০২২ সালে একলাফে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৮০৭-এ। সেই বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা গত বছরও লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৩ সালে মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন ২৮ হাজার ৩৩৬ বাংলাদেশি। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় দেশটিতে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে বাংলাদেশ এখন মালদ্বীপের ১৫তম পর্যটন বাজার।

শুধু বাংলাদেশি পর্যটকই নয়, সামগ্রিকভাবেই মালদ্বীপে পর্যটক বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। যা ২০২২ সালে ছিল ১৬ লাখ ৭৫ হাজার।

গত বছরের পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, বছরজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ভিনদেশি পর্যটক পেয়েছে মালদ্বীপ। আর একজন পর্যটক ভ্রমণে গিয়ে গড়ে ৬ দিন অবস্থান করেন। এ সময় ভারতীয় ও রুশ পর্যটক ছিল প্রায় সমান, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২ লাখ ৯ হাজার ১৯৮ ভারতীয় ও ২ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ রুশ পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন।

যদিও চলতি বছরে নতুন বাস্তবতায় পড়েছে মালদ্বীপের পর্যটন খাত। চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে মালদ্বীপ বিমুখ ভারতীয়রা। লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অপমানের জবাব বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন ভারতের ভ্রমণপিপাসুরা।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ মোকাবিলা করেই পর্যটনকে এগিয়ে নিচ্ছে মালদ্বীপ সরকার। মালদ্বীপে সহস্রাধিক দ্বীপ আছে, এই দ্বীপগুলোকে দুই নামে ডাকা হয়, লোকাল আইল্যান্ড আর রিসোর্ট আইল্যান্ড। লোকাল আইল্যান্ডে স্থানীয় জনগণ থাকে, তবে পর্যটকদের থাকারও ব্যবস্থা আছে আর রিসোর্ট আইল্যান্ডে শুধুই রিসোর্ট।

১৯৭২ সালে এমনই একটি দ্বীপে দুটি রিসোর্ট নিয়ে পর্যটন শিল্পের গোড়াপত্তন করে মালদ্বীপ। বর্তমানে দেশটিতে রিসোর্টের সংখ্যা ১৮০। এ ছাড়া আছে হোটেল, গেস্টহাউস, সাফারি জাহাজসহ নানা কিছু।

শেয়ার করুন

মালদ্বীপের পর্যটন খাত যে কারণে এগিয়ে

সময় ১১:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

ছাট ছোট অসংখ্য দ্বীপ। চারদিকে নারকেল-সুপারি গাছ আর নীল সাগর থেকে আসা মিষ্টি হাওয়া। বলছিলাম- দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের কথা।

দেশটির অর্থনীতির অন্যতম খাত পর্যটন। যে কারণে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে সব ধরনের আয়োজন নিয়ে বসে থাকে দেশটি। বছরে এই খাত থেকে দেশটি প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। যা দেশটির মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ।

দেশটি ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে ২০২৩ সালে ১৮ লাখ নতুন পর্যটক আকর্ষণ করেছে।

দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে টেকসই পর্যটন নীতিমালার ওপর জোর দিয়ে থাকে।

দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৩ হাজার ৯২৩ বাংলাদেশি ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রটি ভ্রমণে গিয়েছিল, ২০২২ সালে একলাফে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৮০৭-এ। সেই বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা গত বছরও লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৩ সালে মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন ২৮ হাজার ৩৩৬ বাংলাদেশি। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় দেশটিতে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে বাংলাদেশ এখন মালদ্বীপের ১৫তম পর্যটন বাজার।

শুধু বাংলাদেশি পর্যটকই নয়, সামগ্রিকভাবেই মালদ্বীপে পর্যটক বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। যা ২০২২ সালে ছিল ১৬ লাখ ৭৫ হাজার।

গত বছরের পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, বছরজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ভিনদেশি পর্যটক পেয়েছে মালদ্বীপ। আর একজন পর্যটক ভ্রমণে গিয়ে গড়ে ৬ দিন অবস্থান করেন। এ সময় ভারতীয় ও রুশ পর্যটক ছিল প্রায় সমান, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২ লাখ ৯ হাজার ১৯৮ ভারতীয় ও ২ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ রুশ পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন।

যদিও চলতি বছরে নতুন বাস্তবতায় পড়েছে মালদ্বীপের পর্যটন খাত। চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে মালদ্বীপ বিমুখ ভারতীয়রা। লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অপমানের জবাব বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন ভারতের ভ্রমণপিপাসুরা।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ মোকাবিলা করেই পর্যটনকে এগিয়ে নিচ্ছে মালদ্বীপ সরকার। মালদ্বীপে সহস্রাধিক দ্বীপ আছে, এই দ্বীপগুলোকে দুই নামে ডাকা হয়, লোকাল আইল্যান্ড আর রিসোর্ট আইল্যান্ড। লোকাল আইল্যান্ডে স্থানীয় জনগণ থাকে, তবে পর্যটকদের থাকারও ব্যবস্থা আছে আর রিসোর্ট আইল্যান্ডে শুধুই রিসোর্ট।

১৯৭২ সালে এমনই একটি দ্বীপে দুটি রিসোর্ট নিয়ে পর্যটন শিল্পের গোড়াপত্তন করে মালদ্বীপ। বর্তমানে দেশটিতে রিসোর্টের সংখ্যা ১৮০। এ ছাড়া আছে হোটেল, গেস্টহাউস, সাফারি জাহাজসহ নানা কিছু।