মামলা করবেন এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারা ১৩ শিক্ষার্থী | Bangla Affairs
০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলা করবেন এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারা ১৩ শিক্ষার্থী

নুরুল বশর, উখিয়া (কক্সবাজার)
  • সময় ১০:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 14

এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারা ১৩ শিক্ষার্থী

প্রবেশপত্র না পেয়ে কক্সবাজার উখিয়া উপজেলায় শেষ হয়ে গেছে ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। কারণ অবরোধ আন্দোলন করে কিছু হয়নি তাদের।
সারাদেশে থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ জন পরীক্ষার্থী৷

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন “অনিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের জীবন, এ সময় প্রবেশপত্র না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামে এক স্কুলে ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

তারা হলেন মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর সুফাইরা আক্তার ,পিতা – রশিদ আহম্মাদ, নাইমা, পিতা- নুরুল আলম, সানজিদা আক্তার, পিতা- মোঃ ইসলাম, নাছিমা আক্তার-পিতাঃ আব্দুল হক, রুনা, পিতাঃ আয়ুর আলী, সুইটি আক্তার, পিতাঃ খুরশেদ আলম, মাহামুদুল হক, পিতাঃ- আয়ুব আলী ,নয়ন মনি, পিতা: খালেদ আনস।
নাসির মোহাম্মদ, পিতা আব্দুল রহিম, শারমিনা কামাল, পিতাঃ- আক্তার কামাল, রেনজিনা আক্তার, পিতা রুমু উদ্দিন, হাফসা আক্তার, পিতা- নুরুল আমিন এবং রিহাদুল ইসলাম, পিতা নজরুল ইসলাম।

শিক্ষার্থী সুফাইরার মাতা জাহান আরা বলেন, তাদের মেয়েরা আগামী রবিবার পরীক্ষা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা চাই তাদের দাবি এবং সকল শিক্ষকের ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

শারমিনা কামাল এর পিতা আক্তার কামাল বলেন আজকের ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ডাঃ জহির আহমেদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, তিনি লুটপাট করে খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে ইউএনও বলেছেন নিজে বাদী হয়ে মামলা করবেন এবং রবিবারের পরে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুর আলম বলেন, আমার মেয়ের ফরম পূরণের টাকা দিয়েছি। সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা। এখানে এসে দেখি স্কুল তালাবদ্ধ। আমরা আইন কে সম্মান করি আমাদের কে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উখিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আটক আছেন তদন্ত কমিটি হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, তারা চট্টগ্রাম বোর্ডে ফরম পূরণ করেনি।

তিনি বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও বন্ধ পাওয়া যায়।

উক্ত ঘটনা উখিয়া কক্সবাজার জেলা জুড়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক সহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

উখিয়া থানা ওসি আরিফ হোসেন বলেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আটক আছেন মামলা হচ্ছে এই ব্যাপারে।

শেয়ার করুন

মামলা করবেন এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারা ১৩ শিক্ষার্থী

সময় ১০:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

প্রবেশপত্র না পেয়ে কক্সবাজার উখিয়া উপজেলায় শেষ হয়ে গেছে ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। কারণ অবরোধ আন্দোলন করে কিছু হয়নি তাদের।
সারাদেশে থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ জন পরীক্ষার্থী৷

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন “অনিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের জীবন, এ সময় প্রবেশপত্র না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামে এক স্কুলে ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

তারা হলেন মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর সুফাইরা আক্তার ,পিতা – রশিদ আহম্মাদ, নাইমা, পিতা- নুরুল আলম, সানজিদা আক্তার, পিতা- মোঃ ইসলাম, নাছিমা আক্তার-পিতাঃ আব্দুল হক, রুনা, পিতাঃ আয়ুর আলী, সুইটি আক্তার, পিতাঃ খুরশেদ আলম, মাহামুদুল হক, পিতাঃ- আয়ুব আলী ,নয়ন মনি, পিতা: খালেদ আনস।
নাসির মোহাম্মদ, পিতা আব্দুল রহিম, শারমিনা কামাল, পিতাঃ- আক্তার কামাল, রেনজিনা আক্তার, পিতা রুমু উদ্দিন, হাফসা আক্তার, পিতা- নুরুল আমিন এবং রিহাদুল ইসলাম, পিতা নজরুল ইসলাম।

শিক্ষার্থী সুফাইরার মাতা জাহান আরা বলেন, তাদের মেয়েরা আগামী রবিবার পরীক্ষা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা চাই তাদের দাবি এবং সকল শিক্ষকের ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

শারমিনা কামাল এর পিতা আক্তার কামাল বলেন আজকের ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ডাঃ জহির আহমেদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, তিনি লুটপাট করে খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে ইউএনও বলেছেন নিজে বাদী হয়ে মামলা করবেন এবং রবিবারের পরে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুর আলম বলেন, আমার মেয়ের ফরম পূরণের টাকা দিয়েছি। সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা। এখানে এসে দেখি স্কুল তালাবদ্ধ। আমরা আইন কে সম্মান করি আমাদের কে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উখিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আটক আছেন তদন্ত কমিটি হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, তারা চট্টগ্রাম বোর্ডে ফরম পূরণ করেনি।

তিনি বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও বন্ধ পাওয়া যায়।

উক্ত ঘটনা উখিয়া কক্সবাজার জেলা জুড়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক সহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

উখিয়া থানা ওসি আরিফ হোসেন বলেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আটক আছেন মামলা হচ্ছে এই ব্যাপারে।