০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক কারবারির স্ত্রীর সঙ্গে ধরা খাওয়া পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • সময় ০৩:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 35

ধরা খেলেন এএসআই

রাজশাহীতে গভীর রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়ে পুলিশের এএসআই সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বুধবার সন্ধ্যায় তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করেছে। সোহেল রানা আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এক নারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এএসআই সোহেল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ঘরে আটকে রাখেন এবং লাঠিপেটা করেন। পরে থানায় খবর দিলে মতিহার থানা-পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, “ওই নারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এএসআই সোহেল রানাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়।”

এএসআই সোহেল রানা
এএসআই সোহেল রানা

আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে। তদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যে নারীর ঘরে এএসআই সোহেল রানা ছিলেন, তিনি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী একজন মাদক কারবারি এবং দেড় বছর কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্বামী জেলে থাকাকালীন থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে থাকছেন।

শেয়ার করুন

মাদক কারবারির স্ত্রীর সঙ্গে ধরা খাওয়া পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

সময় ০৩:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীতে গভীর রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়ে পুলিশের এএসআই সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বুধবার সন্ধ্যায় তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করেছে। সোহেল রানা আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এক নারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এএসআই সোহেল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ঘরে আটকে রাখেন এবং লাঠিপেটা করেন। পরে থানায় খবর দিলে মতিহার থানা-পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, “ওই নারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এএসআই সোহেল রানাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়।”

এএসআই সোহেল রানা
এএসআই সোহেল রানা

আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে। তদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যে নারীর ঘরে এএসআই সোহেল রানা ছিলেন, তিনি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী একজন মাদক কারবারি এবং দেড় বছর কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্বামী জেলে থাকাকালীন থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে থাকছেন।