ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহিপুরে দখল হচ্ছে শতবর্ষী খাসপুকুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কলাপাড়া
  • সময় ১০:২১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 24

মহিপুরে শতবর্ষী খাসপুকুর

পটুয়াখালীর মহিপুর বাজারের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাসপুকুরটি এখন দখলদারদের কবলে পড়ে ধ্বংসের মুখে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন পুকুরটির কিছু অংশ দখল করে বর্জ্য ফেলানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পুকুরটির চারপাশ অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় দখলবাজরা। একসময় যে পুকুরের পানি মহিপুরবাসীর দৈনন্দিন সাংসারিক কাজে অপরিহার্য ছিল, সেটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই পুকুরটি প্রায় শত বছর আগে খনন করা হয়েছিল। মহিপুর বাজারের একমাত্র খাসপুকুরটি তখন এলাকার মানুষের পানীয় জলের প্রধান উৎস ছিল। এটি শুধু একটি জলাধার নয়; এটি মহিপুরের ঐতিহ্য। বর্তমানে পুকুরটি দখলবাজদের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের চারপাশে ঘিরে আছে দোকানপাট। পুকুরে নানারকম বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যা শুধু পুকুরটিকেই ধ্বংস করছে না, আশপাশের পরিবেশও দূষিত করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, “এই পুকুরটি একসময় আমাদের জীবনের অংশ ছিল। এখন আমরা এর দিকে তাকালেও কষ্ট হয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”

একই কথা বলেন এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রহিমা বেগম। তিনি বলেন, “পুকুরটি ছিল আমাদের একমাত্র বিশুদ্ধ পানির উৎস। এটি রক্ষা না করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ঐতিহ্যের কথা জানবেই না।”

এলাকাবাসী অবিলম্বে দখলদারদের উচ্ছেদ এবং পুকুরটি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুকুরটি রক্ষা করতে না পারলে মহিপুরের পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে নজরে এসেছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবো। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

মহিপুরে দখল হচ্ছে শতবর্ষী খাসপুকুর

সময় ১০:২১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর মহিপুর বাজারের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাসপুকুরটি এখন দখলদারদের কবলে পড়ে ধ্বংসের মুখে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন পুকুরটির কিছু অংশ দখল করে বর্জ্য ফেলানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পুকুরটির চারপাশ অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় দখলবাজরা। একসময় যে পুকুরের পানি মহিপুরবাসীর দৈনন্দিন সাংসারিক কাজে অপরিহার্য ছিল, সেটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই পুকুরটি প্রায় শত বছর আগে খনন করা হয়েছিল। মহিপুর বাজারের একমাত্র খাসপুকুরটি তখন এলাকার মানুষের পানীয় জলের প্রধান উৎস ছিল। এটি শুধু একটি জলাধার নয়; এটি মহিপুরের ঐতিহ্য। বর্তমানে পুকুরটি দখলবাজদের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের চারপাশে ঘিরে আছে দোকানপাট। পুকুরে নানারকম বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যা শুধু পুকুরটিকেই ধ্বংস করছে না, আশপাশের পরিবেশও দূষিত করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, “এই পুকুরটি একসময় আমাদের জীবনের অংশ ছিল। এখন আমরা এর দিকে তাকালেও কষ্ট হয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”

একই কথা বলেন এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রহিমা বেগম। তিনি বলেন, “পুকুরটি ছিল আমাদের একমাত্র বিশুদ্ধ পানির উৎস। এটি রক্ষা না করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ঐতিহ্যের কথা জানবেই না।”

এলাকাবাসী অবিলম্বে দখলদারদের উচ্ছেদ এবং পুকুরটি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুকুরটি রক্ষা করতে না পারলে মহিপুরের পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে নজরে এসেছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবো। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।