মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন অভি
- সময় ০৫:৩৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
- / 20
এক সময়ের হার্টথ্রপ মডেল ও নায়িকা সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। তার হত্যার রহস্য ছিল এক সময়ের সবচে আলোচিত ঘটনা। এবার তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত খালাসের রায় দেন।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজভী। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
অভি পলাতক রয়েছেন। তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ্ ইলিয়াস রতন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। ওইদিন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন। আদালত মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যের জন্য ধার্য করেন।
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, তিন্নি ২২ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন ছিলেন বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী। তার জন্ম পুরোনো ঢাকার ওয়ারীতে। তিন্নি নামেই তিনি বিনোদন জগতে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিন্নি র্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার যাত্রা শুরু করেন। তার প্রথম টিভি বিজ্ঞাপন হেনোলাক্স ক্রীম দিয়ে তিনি পরিচিতি পান। পরবর্তীতে তিনি স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক, লিজান মেহেদী, গন্ধরাজ তেল,এলিট পেইন্ট,কোয়ালিটি আইসক্রিম,বম্বে উপটান, ও রিচি জুসের বিজ্ঞাপন করে জনপ্রিয়তা পান। কয়েকটি টিভি নাটকেও তিনি অভিনয় করেন। পরিচালক বাদল খন্দকারের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েও পরে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মারা যান।