ভোটে গণতন্ত্র নয়, আসে লুটেরা শ্রেণি: ফরহাদ মজহার | Bangla Affairs
০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটে গণতন্ত্র নয়, আসে লুটেরা শ্রেণি: ফরহাদ মজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৯:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 12

ফরহাদ মজহার

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, শুধু ভোট দিয়ে গণতন্ত্র আসে না। ভোটের মাধ্যমে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি ক্ষমতায় আসে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী মাজারে ‘জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ আয়োজিত ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র তখনই আসে, যখন কমিউনিটি জেগে ওঠে। জনগণ নিজের এলাকা, নিজের সিদ্ধান্তে উন্নয়ন ঘটায়। কমিউনিটি বোঝে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। রাষ্ট্র গঠনে এ বোঝাপড়াই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম যাই হোক না কেন, সবাই এ সমাজের অংশ। মাজার এটাই শেখায়—মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই। মাজার আমাদের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। মানুষ মরবে, কিন্তু তার আমল থেকেই যাবে। জীবনের চেয়ে কাজ বড়— বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা শুনলে হৃদয় ভেঙে যায়। এ ব্যথা ভুললে জাতি ভুল পথে যাবে।

ফারুকী স্বীকার করেন, শহীদ পরিবারদের জন্য যথেষ্ট কিছু করা হয়নি। তিনি বলেন, রিসোর্স আর পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা থাকলেও, আন্তরিকতার অভাব ছিল না।

তিনি জানান, জুলাই যাদুঘর একটি ব্যতিক্রমধর্মী যাদুঘর হবে। সেখানে দর্শনার্থীরা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভেতর দিয়ে হাঁটবেন।

শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। মিরপুরের শহীদ মো. নাদিমের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা বলেন, আমাদের সন্তানদের রক্তে গড়া বাংলাদেশ। অথচ ৮ মাসেও বিচার হয়নি।

শেয়ার করুন

ভোটে গণতন্ত্র নয়, আসে লুটেরা শ্রেণি: ফরহাদ মজহার

সময় ০৯:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, শুধু ভোট দিয়ে গণতন্ত্র আসে না। ভোটের মাধ্যমে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি ক্ষমতায় আসে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী মাজারে ‘জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ আয়োজিত ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র তখনই আসে, যখন কমিউনিটি জেগে ওঠে। জনগণ নিজের এলাকা, নিজের সিদ্ধান্তে উন্নয়ন ঘটায়। কমিউনিটি বোঝে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। রাষ্ট্র গঠনে এ বোঝাপড়াই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম যাই হোক না কেন, সবাই এ সমাজের অংশ। মাজার এটাই শেখায়—মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই। মাজার আমাদের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। মানুষ মরবে, কিন্তু তার আমল থেকেই যাবে। জীবনের চেয়ে কাজ বড়— বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা শুনলে হৃদয় ভেঙে যায়। এ ব্যথা ভুললে জাতি ভুল পথে যাবে।

ফারুকী স্বীকার করেন, শহীদ পরিবারদের জন্য যথেষ্ট কিছু করা হয়নি। তিনি বলেন, রিসোর্স আর পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা থাকলেও, আন্তরিকতার অভাব ছিল না।

তিনি জানান, জুলাই যাদুঘর একটি ব্যতিক্রমধর্মী যাদুঘর হবে। সেখানে দর্শনার্থীরা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভেতর দিয়ে হাঁটবেন।

শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। মিরপুরের শহীদ মো. নাদিমের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা বলেন, আমাদের সন্তানদের রক্তে গড়া বাংলাদেশ। অথচ ৮ মাসেও বিচার হয়নি।