০৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমধ্যসাগরে নিহত ২৩ মরদেহ দাফন, ধারণা বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 55

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌ-দুর্ঘটনার শিকার ২৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তাদের অবয়ব দেখে বাংলাদেশি বলে ধারণা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।

গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার।

আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার বলেন, ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। খুব সম্ভবত এদিন রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে মরদেহ ভেসে আসতে থাকে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২৮ জানুয়ারি সাতজন, ২৯ জানুয়ারি ১১ জন, ৩০ জানুয়ারি তিনজন ও ৩১ জানুয়ারি দুজন—মোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো আজদাদিয়া এলাকায় সমাহিত করা হয়েছে।

‘লাশগুলো পচে গিয়েছিল। এগুলো রাখার কোনো উপায় ছিল না। লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকজন। তারা জানিয়েছেন, অবয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে, লাশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের। লাশগুলোর সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এছাড়াও মুমূর্ষ অবস্থায় আরও দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে সম্ভবত সেনাবাহিনী বা পুলিশের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাইনি। বাকি যারা এখনো নিখোঁজ, তাদেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

সূত্র: ইউএনবি

শেয়ার করুন

ভূমধ্যসাগরে নিহত ২৩ মরদেহ দাফন, ধারণা বাংলাদেশি

সময় ১১:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌ-দুর্ঘটনার শিকার ২৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তাদের অবয়ব দেখে বাংলাদেশি বলে ধারণা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।

গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার।

আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার বলেন, ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। খুব সম্ভবত এদিন রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে মরদেহ ভেসে আসতে থাকে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২৮ জানুয়ারি সাতজন, ২৯ জানুয়ারি ১১ জন, ৩০ জানুয়ারি তিনজন ও ৩১ জানুয়ারি দুজন—মোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো আজদাদিয়া এলাকায় সমাহিত করা হয়েছে।

‘লাশগুলো পচে গিয়েছিল। এগুলো রাখার কোনো উপায় ছিল না। লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকজন। তারা জানিয়েছেন, অবয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে, লাশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের। লাশগুলোর সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এছাড়াও মুমূর্ষ অবস্থায় আরও দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে সম্ভবত সেনাবাহিনী বা পুলিশের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাইনি। বাকি যারা এখনো নিখোঁজ, তাদেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

সূত্র: ইউএনবি