ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে পাথর আমদানি চলছে

শেখ ফজলে রাব্বি, জামালপুর
  • সময় ১১:৪৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 36

ভারত থেকে বাংলাদেশে পাথর আসে

গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর রোববার, সময় দুপুর ১২ টার কাছাকাছি। ভারত থেকে ২০টি পাথর বোঝাই ট্রাক এলো বাংলাদেশে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এমন একটি চালানের কথা দুু’দেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশ হয়নি। ওইদিন বাংলাদেশ-ভারতের স্থলসীমা ব্যবহার করে পাথর আমদানি করা হয় পাথর। পরে বন্দর থেকে শুল্ক কর্মকর্তাদের তদারকিতে ট্রাকগুলো খালাস করা হয়।

ওই দিনে প্রতিটি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন করে ২০টি ট্রাকে ২৪০ মেট্রিক টন পাথর বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এখন থেকে সরকারি ছুটির বাইরে প্রতিদিন পাথর আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা।

দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে বন্দরের ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতি ও শ্রমিকদের মধ্যে।

তবে স্থানীয়রা জানান, পূর্বের মত চাঁদাবাজি ও শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে যেন পুনরায় বন্দরের আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল করে ব্যবসা বাণিজ্য চালানো উচিত।

ধানুয়া-কামালপুর
ধানুয়া-কামালপুর

ধানুয়া কামালপুর আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় আগের মতই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বন্দরের কার্যক্রম। ফলে বেকার শ্রমিকেরা পুনরায় কাজে ফিরবে এবং ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির আরেক নেতা গোলাম রসুল সেতু বলেন, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে ৩৪টি পণ্য আমদানির অনুমোদন থাকার পরও শুধুমাত্র পাথর আমদানি করা হয় এই বন্দর দিয়ে। তিনি দেশের আমদানি-রপ্তানীকরক ও ব্যবসায়ীদের এই বন্দরে ব্যবসা করার আহ্বান জানান।

বন্দরটির শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার আবারও পাথর আসতে শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

ভারত থেকে পাথর আমদানি চলছে

সময় ১১:৪৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর রোববার, সময় দুপুর ১২ টার কাছাকাছি। ভারত থেকে ২০টি পাথর বোঝাই ট্রাক এলো বাংলাদেশে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এমন একটি চালানের কথা দুু’দেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশ হয়নি। ওইদিন বাংলাদেশ-ভারতের স্থলসীমা ব্যবহার করে পাথর আমদানি করা হয় পাথর। পরে বন্দর থেকে শুল্ক কর্মকর্তাদের তদারকিতে ট্রাকগুলো খালাস করা হয়।

ওই দিনে প্রতিটি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন করে ২০টি ট্রাকে ২৪০ মেট্রিক টন পাথর বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এখন থেকে সরকারি ছুটির বাইরে প্রতিদিন পাথর আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা।

দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে বন্দরের ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতি ও শ্রমিকদের মধ্যে।

তবে স্থানীয়রা জানান, পূর্বের মত চাঁদাবাজি ও শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে যেন পুনরায় বন্দরের আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল করে ব্যবসা বাণিজ্য চালানো উচিত।

ধানুয়া-কামালপুর
ধানুয়া-কামালপুর

ধানুয়া কামালপুর আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় আগের মতই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বন্দরের কার্যক্রম। ফলে বেকার শ্রমিকেরা পুনরায় কাজে ফিরবে এবং ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির আরেক নেতা গোলাম রসুল সেতু বলেন, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে ৩৪টি পণ্য আমদানির অনুমোদন থাকার পরও শুধুমাত্র পাথর আমদানি করা হয় এই বন্দর দিয়ে। তিনি দেশের আমদানি-রপ্তানীকরক ও ব্যবসায়ীদের এই বন্দরে ব্যবসা করার আহ্বান জানান।

বন্দরটির শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার আবারও পাথর আসতে শুরু করেছে।