পরিস্থিতি যাই হোক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে : প্রণয় ভার্মা
- সময় ০৪:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 39
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে ইচ্ছুক। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থে এ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে আগরতলার ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের তলবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন প্রণয় ভার্মা। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায়। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোনো কারণ নেই।
এর আগে সোমবার ত্রিপুরার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সেখানকার কিছু লোক এ হামলা চালায়। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক’শ লোক বিক্ষোভ করেছেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে তাকে তলব করেছে বাংলাদেশ।
আগরতলায় গতকাল সোমবার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক’শ লোক বিক্ষোভ করেছেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে কোনো অবস্থায়ই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
এ ঘটনায় ত্রিপুরায় আজ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগরতলার হামলার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।