ভারতীয় গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : বিজিবি
- সময় ১১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 40
সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত প্রকাশিত হয়েছে যে, চলতি বছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মহাপরিচালক সীমান্ত সম্মেলন হচ্ছে না যা বিজিবির নজরে এসেছে। উক্ত সংবাদটি অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এ প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত নভেম্বর ২০২৪ মাসে ভারতে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে উভয় দেশের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মেলনটি ০৩ মাস পিছিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীই সম্মেলনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বিএসএসফ’র এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক এ বছর আর হচ্ছে না। দুই বাহিনীর প্রধান বছরে দুইবার বৈঠকে মিলিত হন। এতে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকেন। এবারের বৈঠকটি ভারতের দিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যম আরো দাবি করে, যদিও এটি রুটিন বৈঠক। তবে এবারের বৈঠকটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। গত নভেম্বরে বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর নতুন করে আর তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু এ বছরের মাত্র চারদিন বাকি আছে। তাই ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএসএফের কর্মকর্তা বলেছেন, “নতুন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তাই এ বছর বৈঠক হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর, ডিসেম্বরে এটি আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু এগুলো ছোট। যেগুলো সমাধান করা যাবে না সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হলেও; বিষয়টিকে আমরা বড় করে দেখছি না। কারণ মধ্যমসারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সীমান্তে কড়া নজরদারির মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সদা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি চোরাচালন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেটি আরো জোরদার করা হয়েছে।