ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
  • সময় ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 29

ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

৯ উইকেটে ৪৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ষোষণার পর শেষ বিকেলে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। দলীয় ২১ রানের মধ্যেই আউট হয়ে গেছেন দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।

শুরুতে উইকেট বিলিয়ে দেন জাকির হাসান। দলীয় ২০ রানের মাথায় জয়ডেন সিলসের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি। দলীয় স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই আউট হয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৩৩ বলে মাত্র ৫ রান করে আলজারি জোসেফের বলে অ্যালিক অ্যাথানাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান এই ডানহাতি। মমিনুল হক ৭ আর শাহাদাত হোসেন দিপু ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

হাসান মাহমুদ
হাসান মাহমুদ

এর আগে প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৫ উইকেটে ২৫০। এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। ২৬১ রানের মাথায় নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন, ৩০০ রানের আশপাশে হয়তো ক্যারিবীয়দের বেধে ফেলতে পারবে টাইগার বোলাররা।

কিন্তু সবার সব হিসাব উল্টে দিলেন জাস্টিন গ্রিভস এবং কেমার রোচ। ১৪০ রানের বিশাল এক জুটি গড়লেন এ দু’জন। যদিও তাদের এ জুটির পেছনে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদেরও কম অবদান ছিল না। আউট হলেও আবেদন করে না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা, তাতে এমন জুটি গড়া তাদের জন্য খুবই সহজ।

৬ নম্বরে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটার গ্রিভস ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। ১৮১ বল খেলে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন গ্রিভস। ২০৬ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় দলীয় ৪৫০ এর মাইলফলকে পৌঁছার পরই অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ইনিংস ঘোষণা করেন।

জাস্টিন গ্রিভস
জাস্টিন গ্রিভস

এর আগে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন জাস্টিন গ্রিভস এবং হাফসেঞ্চুরির সামনে কেমার রোচ। মাইলফলকে পৌঁছাতে দু’জনেরই প্রয়োজন ছিল সমান ৩ রান করে। কিন্তু এই সময় এসে ব্যর্থ হলেন রোচ। হাসান মাহমুদের বলে স্ট্যাম্পের বেল উড়ে গেলো তার। ১৪৪ বলে ৪৭ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ভাঙলো ১৪০ রানের বিশাল জুটি।

নবম উইকেটে জয়ডেন সিলসকে নিয়ে অপরাজিত ৩৭ রানের জুটি করেন গ্রিভস। ২৫ বলে ১৮ রানে সিলস আউট হন। ইনিংস ঘোষণার সময় গ্রিভস ১১৫ রানে আর শামার জোসেফ ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

দিনের অন্তত ২৭ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ তৈরি করে দেয় ক্যারিবীয়রা। এতে অবশ্য তাদের উদ্দেশ্যও আছে। যদি শেষ বিকেলে বেশ কয়েকটি উইকেট ফেলা যায়! উইন্ডিজের সেই কৌশল দারুণ কাজেও দিয়েছে।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ২টি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

শেয়ার করুন

ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

সময় ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

৯ উইকেটে ৪৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ষোষণার পর শেষ বিকেলে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। দলীয় ২১ রানের মধ্যেই আউট হয়ে গেছেন দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।

শুরুতে উইকেট বিলিয়ে দেন জাকির হাসান। দলীয় ২০ রানের মাথায় জয়ডেন সিলসের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি। দলীয় স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই আউট হয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৩৩ বলে মাত্র ৫ রান করে আলজারি জোসেফের বলে অ্যালিক অ্যাথানাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান এই ডানহাতি। মমিনুল হক ৭ আর শাহাদাত হোসেন দিপু ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

হাসান মাহমুদ
হাসান মাহমুদ

এর আগে প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৫ উইকেটে ২৫০। এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। ২৬১ রানের মাথায় নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন, ৩০০ রানের আশপাশে হয়তো ক্যারিবীয়দের বেধে ফেলতে পারবে টাইগার বোলাররা।

কিন্তু সবার সব হিসাব উল্টে দিলেন জাস্টিন গ্রিভস এবং কেমার রোচ। ১৪০ রানের বিশাল এক জুটি গড়লেন এ দু’জন। যদিও তাদের এ জুটির পেছনে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদেরও কম অবদান ছিল না। আউট হলেও আবেদন করে না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা, তাতে এমন জুটি গড়া তাদের জন্য খুবই সহজ।

৬ নম্বরে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটার গ্রিভস ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। ১৮১ বল খেলে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন গ্রিভস। ২০৬ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় দলীয় ৪৫০ এর মাইলফলকে পৌঁছার পরই অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ইনিংস ঘোষণা করেন।

জাস্টিন গ্রিভস
জাস্টিন গ্রিভস

এর আগে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন জাস্টিন গ্রিভস এবং হাফসেঞ্চুরির সামনে কেমার রোচ। মাইলফলকে পৌঁছাতে দু’জনেরই প্রয়োজন ছিল সমান ৩ রান করে। কিন্তু এই সময় এসে ব্যর্থ হলেন রোচ। হাসান মাহমুদের বলে স্ট্যাম্পের বেল উড়ে গেলো তার। ১৪৪ বলে ৪৭ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ভাঙলো ১৪০ রানের বিশাল জুটি।

নবম উইকেটে জয়ডেন সিলসকে নিয়ে অপরাজিত ৩৭ রানের জুটি করেন গ্রিভস। ২৫ বলে ১৮ রানে সিলস আউট হন। ইনিংস ঘোষণার সময় গ্রিভস ১১৫ রানে আর শামার জোসেফ ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

দিনের অন্তত ২৭ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ তৈরি করে দেয় ক্যারিবীয়রা। এতে অবশ্য তাদের উদ্দেশ্যও আছে। যদি শেষ বিকেলে বেশ কয়েকটি উইকেট ফেলা যায়! উইন্ডিজের সেই কৌশল দারুণ কাজেও দিয়েছে।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ২টি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।