বিশ্ব ইজতেমা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে: চরমোনাই পীর
- সময় ০৭:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
- / 23
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) দাবি করেন, ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই বিশ্ব ইজতেমা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে যুগযুগ ধরে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। যার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চরমোনাই পীর মনে করেন, মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।।
রেজাউল করীম বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয়। আমরা ইসলামের সঠিক আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি।
বিবৃতির ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যে সম্মিলন ঘটে তাতে ইসলামকে জানার ও বুঝার পথ সুগম হয়। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমদের আলোচনা হতে এতে অংশগ্রহণকারীরা মুসলমানদের জন্য করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন।
এছাড়া, বিশ্ব ইজতেমা ইসলামি উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করেন চর মোনাইপীর।
তাঁর দাবি, ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে উম্মাহর লালিত, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।
এ বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে চরমোনাই পীর আশাবাদী।
শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ
-
সর্বাধিক
Devoloped By: InnoSoln Limited