ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দুই পক্ষকে আলোচনায় ডাকলেও উপস্থিত একপক্ষ

বিশ্ব ইজতেমা তারিখ নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 196

বিশ্ব ইজতেমা

আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

গত কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বিশ্ব ইজতেমা
Ijtema

তিনি জানান, ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হবে।

ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সচিবালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে আলোচনায় ডাকলেও সভায় উপস্থিত হন মাওলানা সাদ পন্থীরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ধর্ম, তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সদস্যরা।

বৈঠকে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা, বিদেশিদের ভিসা প্রদানসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সাদপন্থী মাওলানা মুয়াজ বিন নুর জানান, গত সাত বছর ধরে দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করে আসলেও এবার তাঁরা প্রথম পর্বে করতে চান । এছাড়া মাওলানা সাদকে ভারত থেকে দেশে নিয়ে আসতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা।

ijtema
ইজতেমা

তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর থেকে ইজতেমা দুই পর্বে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালে ভারতের মেওয়াত অঞ্চলে তাবলিগের মূল কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মাওলানা ইলিয়াস। তাবলিগের কাজ সম্প্রসারিত হলে তিনি এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমার আয়োজন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালে মাওলানা আবদুল আজিজের প্রচেষ্টায় ঢাকার কাকরাইল মসজিদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক ইজতেমা আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।

১৯৫৪ সালে ঢাকায় লালবাগ শাহি মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইজতেমায় যোগ দেন প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পেও তাবলিগের ইজতেমা আয়োজিত হয়। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত হয় আরও একটি ইজতেমার। ১৯৬০ সালে ঢাকার রমনা উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইজতেমাই ছিল প্রথমবারের মতো বড় পরিসরের আয়োজন। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি। এর পর ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে রমনায় বার্ষিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে রমনায় অনুষ্ঠিত ইজতেমায় সমাগম হয় প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লির। সেখানে স্থান সংকুলান সম্ভব হয়নি। ইজতেমায় মুসল্লি ও অনুসারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে পাগার গ্রামের খেলার মাঠে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় বার্ষিক ইজতেমা।

১৯৬৬ সালের পর থেকে প্রতিবছরই ‘কহর দরিয়া’খ্যাত তুরাগ নদের উত্তর পূর্ব তীর সংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু জমি মিলিয়ে ১৬০ একর জায়গার বিশাল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ ইজতেমা, যা বিশ্ব ইজতেমা নামে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

শেয়ার করুন

দুই পক্ষকে আলোচনায় ডাকলেও উপস্থিত একপক্ষ

বিশ্ব ইজতেমা তারিখ নির্ধারণ

সময় ১২:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

গত কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বিশ্ব ইজতেমা
Ijtema

তিনি জানান, ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হবে।

ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সচিবালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে আলোচনায় ডাকলেও সভায় উপস্থিত হন মাওলানা সাদ পন্থীরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ধর্ম, তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সদস্যরা।

বৈঠকে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা, বিদেশিদের ভিসা প্রদানসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সাদপন্থী মাওলানা মুয়াজ বিন নুর জানান, গত সাত বছর ধরে দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করে আসলেও এবার তাঁরা প্রথম পর্বে করতে চান । এছাড়া মাওলানা সাদকে ভারত থেকে দেশে নিয়ে আসতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা।

ijtema
ইজতেমা

তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর থেকে ইজতেমা দুই পর্বে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালে ভারতের মেওয়াত অঞ্চলে তাবলিগের মূল কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মাওলানা ইলিয়াস। তাবলিগের কাজ সম্প্রসারিত হলে তিনি এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমার আয়োজন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালে মাওলানা আবদুল আজিজের প্রচেষ্টায় ঢাকার কাকরাইল মসজিদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক ইজতেমা আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।

১৯৫৪ সালে ঢাকায় লালবাগ শাহি মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইজতেমায় যোগ দেন প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পেও তাবলিগের ইজতেমা আয়োজিত হয়। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত হয় আরও একটি ইজতেমার। ১৯৬০ সালে ঢাকার রমনা উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইজতেমাই ছিল প্রথমবারের মতো বড় পরিসরের আয়োজন। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি। এর পর ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে রমনায় বার্ষিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে রমনায় অনুষ্ঠিত ইজতেমায় সমাগম হয় প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লির। সেখানে স্থান সংকুলান সম্ভব হয়নি। ইজতেমায় মুসল্লি ও অনুসারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে পাগার গ্রামের খেলার মাঠে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় বার্ষিক ইজতেমা।

১৯৬৬ সালের পর থেকে প্রতিবছরই ‘কহর দরিয়া’খ্যাত তুরাগ নদের উত্তর পূর্ব তীর সংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু জমি মিলিয়ে ১৬০ একর জায়গার বিশাল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ ইজতেমা, যা বিশ্ব ইজতেমা নামে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।