বিরল রোগে আক্রান্ত আলিয়া ভাট! | Bangla Affairs
০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরল রোগে আক্রান্ত আলিয়া ভাট!

বিনোদন ডেস্ক
  • সময় ০৬:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 334

আলিয়া ভাট, বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত অভিনেত্রী। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সাহসী চরিত্রের জন্য দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী নিজের নাম বদলিয়ে ‘আলিয়া ভাট কাপুর’ করেন। এ নিয়ে আলোচনা শেষ না হতেই নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তার জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি বিরল রোগে ভুগছেন, যার নাম ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’ বা এডিডি।

এডিডি মূলত একটি স্নায়বিক সমস্যা, যা মানুষের মনোযোগ এবং কাজের প্রতি ধৈর্য ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যার কারণে রোগীরা কোনো কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন এবং কাজটি সম্পূর্ণ না করেই অন্য কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।

শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, এবং আলিয়া ভাটও তার ব্যতিক্রম নন।

আলিয়া ভাট জানান, ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে একটা অদ্ভুত অস্থিরতা ছিল। এমন কিছু কাজ আছে যা মনে হয় খুব দ্রুত শেষ করা যায়, কিন্তু তিনি তা ধৈর্য ধরে করতে পারতেন না। কিন্তু তিনি সেসময় বুঝতে পারেনি এটা এক ধরনের অসুখ।

আলিয়া স্বীকার করেন যে তার কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখা তার জন্য সবসময়ই সহজ ছিল না। এডিডি তাকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছে যে, তিনি খুব বেশি সময় ধরে কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ফলে তাকে এমন কাজ বেছে নিতে হয়, যা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব।

আলিয়া জানান, তার বিয়ের দিন, মেকআপ আর্টিস্ট তাকে দুই ঘণ্টা সময় দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ওই সমস্যার কারনে তাতে রাজি হননি।

আলিয়ার এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, এডিডি তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলছে। সাধারণত আলিয়া ভাট খুব মৃদুভাষী, এবং সহকর্মীরা তাকে একজন ধৈর্যশীল এবং সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে চেনে। কিন্তু এডিডি তাকে মাঝে মাঝে এমন কঠোর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যা তার স্বাভাবিক আচরণকে পরিবর্তন করে।

আলিয়া বর্তমানে ‘জিগরা’ ছবির কাজে ব্যস্ত, একের পর এক কাজ তাকে ঘিরে রেখেছে। তাছাড়া তাকে মেয়েকেও সময় দিতে হচ্ছে।

এই অসুখের উপসর্গ কেমন এবং কীভাবে তাকে ভুগতে হয়, সে বিষয়েও খোলাসা করেন আলিয়া।

শেয়ার করুন

বিরল রোগে আক্রান্ত আলিয়া ভাট!

সময় ০৬:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

আলিয়া ভাট, বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত অভিনেত্রী। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সাহসী চরিত্রের জন্য দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী নিজের নাম বদলিয়ে ‘আলিয়া ভাট কাপুর’ করেন। এ নিয়ে আলোচনা শেষ না হতেই নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তার জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি বিরল রোগে ভুগছেন, যার নাম ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’ বা এডিডি।

এডিডি মূলত একটি স্নায়বিক সমস্যা, যা মানুষের মনোযোগ এবং কাজের প্রতি ধৈর্য ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যার কারণে রোগীরা কোনো কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন এবং কাজটি সম্পূর্ণ না করেই অন্য কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।

শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, এবং আলিয়া ভাটও তার ব্যতিক্রম নন।

আলিয়া ভাট জানান, ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে একটা অদ্ভুত অস্থিরতা ছিল। এমন কিছু কাজ আছে যা মনে হয় খুব দ্রুত শেষ করা যায়, কিন্তু তিনি তা ধৈর্য ধরে করতে পারতেন না। কিন্তু তিনি সেসময় বুঝতে পারেনি এটা এক ধরনের অসুখ।

আলিয়া স্বীকার করেন যে তার কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখা তার জন্য সবসময়ই সহজ ছিল না। এডিডি তাকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছে যে, তিনি খুব বেশি সময় ধরে কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ফলে তাকে এমন কাজ বেছে নিতে হয়, যা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব।

আলিয়া জানান, তার বিয়ের দিন, মেকআপ আর্টিস্ট তাকে দুই ঘণ্টা সময় দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ওই সমস্যার কারনে তাতে রাজি হননি।

আলিয়ার এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, এডিডি তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলছে। সাধারণত আলিয়া ভাট খুব মৃদুভাষী, এবং সহকর্মীরা তাকে একজন ধৈর্যশীল এবং সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে চেনে। কিন্তু এডিডি তাকে মাঝে মাঝে এমন কঠোর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যা তার স্বাভাবিক আচরণকে পরিবর্তন করে।

আলিয়া বর্তমানে ‘জিগরা’ ছবির কাজে ব্যস্ত, একের পর এক কাজ তাকে ঘিরে রেখেছে। তাছাড়া তাকে মেয়েকেও সময় দিতে হচ্ছে।

এই অসুখের উপসর্গ কেমন এবং কীভাবে তাকে ভুগতে হয়, সে বিষয়েও খোলাসা করেন আলিয়া।