ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের মায়ের অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
  • সময় ১২:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 7

বিয়ের দাবিতে অনশন

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন রুমি খাতুন নামে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের জননী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে উঠে এ অনশন শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা বাড়িতে ওঠায় পালিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক আলি শেখ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বগুড়া শেরনগর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে রুমি খাতুনের সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আজাদ হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। পরে রুমির স্বামী আজাদ জীবিকার তাগিদে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমায়। এসময় রুমী খাতুন সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় আজাদের চাচাতো ভাই আলিম শেখ আজাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায়ে আলিমের সঙ্গে রুমি খাতুনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সর্স্পক গড়ে উঠে।

এসময় তাদের মধ্যে একাধিবার শারীরিক সর্ম্পকও হয়। এতে রুমি খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুমিকে ঘরে থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় আলিম রুমিকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও তা করেনি। এ নিয়ে একাধিক শালিসি বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। পরে কোন পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা রুমি খাতুন বিয়ের দাবিতে আলিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এসময় রুমি খাতুনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আলিম।

রুমির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ঘরে নিচ্ছে না। আমরা সঠিক বিচারের দাবি করছি।

ছেলের চাচা হাকিম বলেন, আমরাও চাই এর একটি সমাধান হোক।

অন্তঃসত্ত্বা নারী রুমি খাতুন বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিলেও আলিম শেখ আমাকে বিয়ে করেনি। আমি কোথায় যাবো। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

শেয়ার করুন

বিয়ের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের মায়ের অনশন

সময় ১২:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন রুমি খাতুন নামে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের জননী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে উঠে এ অনশন শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা বাড়িতে ওঠায় পালিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক আলি শেখ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বগুড়া শেরনগর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে রুমি খাতুনের সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আজাদ হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। পরে রুমির স্বামী আজাদ জীবিকার তাগিদে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমায়। এসময় রুমী খাতুন সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় আজাদের চাচাতো ভাই আলিম শেখ আজাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায়ে আলিমের সঙ্গে রুমি খাতুনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সর্স্পক গড়ে উঠে।

এসময় তাদের মধ্যে একাধিবার শারীরিক সর্ম্পকও হয়। এতে রুমি খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুমিকে ঘরে থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় আলিম রুমিকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও তা করেনি। এ নিয়ে একাধিক শালিসি বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। পরে কোন পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা রুমি খাতুন বিয়ের দাবিতে আলিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এসময় রুমি খাতুনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আলিম।

রুমির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ঘরে নিচ্ছে না। আমরা সঠিক বিচারের দাবি করছি।

ছেলের চাচা হাকিম বলেন, আমরাও চাই এর একটি সমাধান হোক।

অন্তঃসত্ত্বা নারী রুমি খাতুন বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিলেও আলিম শেখ আমাকে বিয়ে করেনি। আমি কোথায় যাবো। আমি এর সঠিক বিচার চাই।