ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্রোহীদের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 17

বিদ্রোহীদের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই

কলম্বিয়ায় মাদক চোরাচালানের গুরুত্বপূর্ণ এক অঞ্চলে বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যকার বিবাদজনিত সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অপহৃত হয়েছে ৩২ জন, ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে কয়েকশ লোককে।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইভান ভেলাস্কেজ রোববার বলেছেন, ‘কাটাটুম্বোতে বামপন্থি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) ও এখন নিস্ক্রিয় রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) একটি অংশের মধ্যে বিরোধের কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংসতায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ইএলএন-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেন।

কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐতিহাসিকভাবে সরকার, ডানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী এবং একে অপরের সঙ্গে অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ ও মাদক পাচারের মতো অবৈধ আয়ের উৎসের জন্য লড়াই করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই তাদের কার্যকলাপের বিরোধিতাকারী বেসামরিক লোকদেরও লক্ষ্য করে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬০
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে নিহত 

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইএলএন অভিযোগ করেছে, বেসামরিকদের হত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়ে বর্তমান সংঘর্ষ উসকে দিয়েছে ফার্ক।

এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনও মন্তব্য করেনি গোষ্ঠীটি। অবশ্য শুক্রবার তারা জানিয়েছে, সহিংসতা আরো ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তাদের সশস্ত্র সদস্যদের প্রত্যাহার করা শুরু করা হয়েছে।
একাধিক নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ভেনিজুয়েলার সীমান্তলাগোয়া হওয়ায় কাটাটুম্বো মাদক চোরাচালানে কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। এ অঞ্চল দিয়েই বেআইনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কোকেইন পাচার করে।

কলম্বিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের অবসানে পেত্রোর সরকার ২০২২ সাল থেকেই বামপন্থি গেরিলা দল ও এককালের ডানপন্থি প্যারামিলিটারিদের প্রতিষ্ঠিত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একের পর এক শান্তি আলোচনা চালিয়ে আসছে। দেশটিতে ছয় দশক ধরে চলা সংঘাত, সহিংসতায় অন্তত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করুন

বিদ্রোহীদের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই

সময় ১২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

কলম্বিয়ায় মাদক চোরাচালানের গুরুত্বপূর্ণ এক অঞ্চলে বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যকার বিবাদজনিত সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অপহৃত হয়েছে ৩২ জন, ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে কয়েকশ লোককে।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইভান ভেলাস্কেজ রোববার বলেছেন, ‘কাটাটুম্বোতে বামপন্থি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) ও এখন নিস্ক্রিয় রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) একটি অংশের মধ্যে বিরোধের কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংসতায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ইএলএন-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেন।

কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐতিহাসিকভাবে সরকার, ডানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী এবং একে অপরের সঙ্গে অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ ও মাদক পাচারের মতো অবৈধ আয়ের উৎসের জন্য লড়াই করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই তাদের কার্যকলাপের বিরোধিতাকারী বেসামরিক লোকদেরও লক্ষ্য করে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬০
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে নিহত 

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইএলএন অভিযোগ করেছে, বেসামরিকদের হত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়ে বর্তমান সংঘর্ষ উসকে দিয়েছে ফার্ক।

এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনও মন্তব্য করেনি গোষ্ঠীটি। অবশ্য শুক্রবার তারা জানিয়েছে, সহিংসতা আরো ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তাদের সশস্ত্র সদস্যদের প্রত্যাহার করা শুরু করা হয়েছে।
একাধিক নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ভেনিজুয়েলার সীমান্তলাগোয়া হওয়ায় কাটাটুম্বো মাদক চোরাচালানে কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। এ অঞ্চল দিয়েই বেআইনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কোকেইন পাচার করে।

কলম্বিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের অবসানে পেত্রোর সরকার ২০২২ সাল থেকেই বামপন্থি গেরিলা দল ও এককালের ডানপন্থি প্যারামিলিটারিদের প্রতিষ্ঠিত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একের পর এক শান্তি আলোচনা চালিয়ে আসছে। দেশটিতে ছয় দশক ধরে চলা সংঘাত, সহিংসতায় অন্তত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স