বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক

- সময় ০৯:৩৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 27
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এবং আলোচনা শেষে বক্তব্য প্রদান করবেন। সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, গণ-অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
এর আগে, সংস্কারের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গঠিত ছয়টি কমিশন গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সাত সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে কমিশনের সহসভাপতি করা হয়েছে।
কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহ-সভাপতি হিসেবে থাকবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হবে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা করা, প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রস্তাব করা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কাজ করবে, যা দেশের প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
এদিকে, দেশে যেন আর কখনও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য গড়ে তুলতে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে আগামীকাল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার সকালে ১৯৮৩ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রনেতারা সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিক্ষা চত্বরে শহীদদের স্মরণ করেন।
তারা বলেন, ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন একই ধারার অংশ। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কখনও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।