বিএসএফ’র মাস্তানি, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

- সময় ০৫:১৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 62
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ঢুকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মাস্তানির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পাঁচ কৃষককে পেটানোর ঘটনায় বিজিবি- বিএসএসফ’র মধ্যে এ নিয়ে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৪ নম্বর সাব পিলারের পাশে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি কৃষকদের মারধরের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত ঘটনার পর লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এবং ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমারের নেতৃত্বে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশি কৃষকদের ওপর বিএসএফ সদস্যদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। জবাবে বিএসএফ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শাস্তির আশ্বাস দেয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। বৈঠক শেষে উভয় বাহিনীর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম জানান, বৈঠকে বাংলাদেশি কৃষকদের ওপর বিএসএফ সদস্যদের হামলার ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফ দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে, যখন উপজেলার কৃষ্ণানন্দ বকসী সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব পিলারের পাশে কয়েকজন বাংলাদেশি কৃষক জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ১০-১২ জন বিএসএফ সদস্য কাঁটাতারের বেড়ার ৩ নম্বর গেট পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং কৃষকদের গালিগালাজ শুরু করে। কৃষকরা এর প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লাঠিপেটা করতে থাকে।
ভীতসন্ত্রস্ত কৃষকরা দৌড়ে গ্রামে আশ্রয় নিলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করে গ্রামেও ঢুকে পড়ে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে বিএসএফ সদস্যরা দ্রুত কাঁটাতারের ভেতরে ফিরে যায়। বিএসএফের হামলায় কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের শামসুল হক (৫৫), জাবেদ আলী (৬০), কাসেম আলী (৪৮), রিপন মিয়া (৩৫) ও তাজুল ইসলাম (৩৮) আহত হন।