ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপালে তাজা গুলিসহ আটক দুইজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপাল (বাগেরহাট)
  • সময় ০৬:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 131

গুলিবর্ষণকারী আ.লীগ নেতা সাইদ আটক

রামপালে প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আঃলীগ নেতা আবু সাইদ বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় রামপাল থানায় ২১ জনকে আসামি করে আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৭, ধারা ১৪৩,১৪৭, ১৪৮, ৫০৬, ১১৪,৩৪ ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ (চ)। মামলাটি করেন, বাঁশতলী গ্রামের মৃত আ. ওয়াদুদের ছেলে এসকে আল মামুন। এ ঘটনায় রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আঃলীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ গত ৫ আগষ্টের পরেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। সে নিজের অবস্থান জানান দিতে এলাকায় আগ্নেয়অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করছিল।

ঘটনার দিন গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এজাহার নামীয় ২১ জনসহ অজ্ঞাত আসামীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে। এরপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ইং ১৭ জানুয়ারি সন্ধা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ বাজারের সোনালী অটো রাইস মিলের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, লোহার রড ও হাতুড়ী নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে।

গুলি উদ্ধার
গুলি উদ্ধার

এ সময় প্রধান আসামি শেখ আবু সাইদের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা হামলা চালায়। বিএনপি জামায়াতের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আবু সাইদের কাছে থাকা পিস্তল, ২ নং আসামি ও বাঁশতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও ৬ নং আসামী কাছে থাকা সর্টগান দিয়ে উপুর্যপুরি গুলি ছোড়ে। ঘটনার বেগতিক দেখে জনতা পিছু হটে। এ সময় তারা পুলিশ ও সেনা সদস্যের খবর দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনালী অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে এসআই জাহাঙ্গীর সর্টগানের ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড তাজা পিস্তলের গুলি জব্দ করে। এ সময় আবু সাইদের ছেলে শেখ মাতলুব হোসাইন ও একই এলাকার কথিত সাংবাদিক ইকরামুল হক রাজিব কে আটক করে। ওই সময় কৌশলে প্রধান আসামি আবু সাইদসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

এ বিষয়ে রামপাল মোংলা সার্কেলর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন মামলা দায়ের ও আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।

শেয়ার করুন

রামপালে তাজা গুলিসহ আটক দুইজন

সময় ০৬:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

রামপালে প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আঃলীগ নেতা আবু সাইদ বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় রামপাল থানায় ২১ জনকে আসামি করে আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৭, ধারা ১৪৩,১৪৭, ১৪৮, ৫০৬, ১১৪,৩৪ ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ (চ)। মামলাটি করেন, বাঁশতলী গ্রামের মৃত আ. ওয়াদুদের ছেলে এসকে আল মামুন। এ ঘটনায় রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আঃলীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ গত ৫ আগষ্টের পরেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। সে নিজের অবস্থান জানান দিতে এলাকায় আগ্নেয়অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করছিল।

ঘটনার দিন গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এজাহার নামীয় ২১ জনসহ অজ্ঞাত আসামীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে। এরপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ইং ১৭ জানুয়ারি সন্ধা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ বাজারের সোনালী অটো রাইস মিলের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, লোহার রড ও হাতুড়ী নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে।

গুলি উদ্ধার
গুলি উদ্ধার

এ সময় প্রধান আসামি শেখ আবু সাইদের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা হামলা চালায়। বিএনপি জামায়াতের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আবু সাইদের কাছে থাকা পিস্তল, ২ নং আসামি ও বাঁশতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও ৬ নং আসামী কাছে থাকা সর্টগান দিয়ে উপুর্যপুরি গুলি ছোড়ে। ঘটনার বেগতিক দেখে জনতা পিছু হটে। এ সময় তারা পুলিশ ও সেনা সদস্যের খবর দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনালী অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে এসআই জাহাঙ্গীর সর্টগানের ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড তাজা পিস্তলের গুলি জব্দ করে। এ সময় আবু সাইদের ছেলে শেখ মাতলুব হোসাইন ও একই এলাকার কথিত সাংবাদিক ইকরামুল হক রাজিব কে আটক করে। ওই সময় কৌশলে প্রধান আসামি আবু সাইদসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

এ বিষয়ে রামপাল মোংলা সার্কেলর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন মামলা দায়ের ও আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।