১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ
  • সময় ০৯:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 35

বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনকে চাঁদাবাজির মামলায় পিটিয়ে  থানায় সোপর্দ করেছে ছাত্রদল নেতাসহ বিএনপির একাংশের লোকজন।

সোমবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ফতুল্লা থানায় এ ঘটনা ঘটে। মামুন ভুইগড় এলাকার বাসিন্দা ও কুতুবপুর ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়ার ছোট ভাই।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান থানায় মামলা করেন, যেখানে মামুনসহ তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। তবে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহমান।

সোমবার রাতে থানায় আসলে মামুন পালানোর চেষ্টা করেন। তখন আব্দুর রহমান ও তার লোকজন তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে এবং মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানার সামনে অর্ধশতাধিক লোকজন চিৎকার করে এবং এক ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা যায়, যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারধরের শিকার মামুন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কাজী নাজমুল, যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন লিটনসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। তারা সোহেল নামে একজনকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেন। এর প্রতিবাদ করেন ছাত্রদল নেতা মাহফুজ, আব্দুর রহমান, আতাই রাব্বিসহ কয়েকজন।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ চলছিল। শনিবার মামুন তার দলবল নিয়ে মাহফুজ গ্রুপের ওপর হামলা চালালে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান বলেন, “মামুন ও তার সহযোগীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নানা অপকর্ম চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাদের কারণে বিএনপির বদনাম হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। থানায় মামলা হলেও পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করেনি। পরে থানায় এলে সে পালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাকে ধরে ওসির হাতে তুলে দেই।”

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, “পুলিশ আসামিদের চেহারা চিনত না। বাদী পক্ষই মামুনকে ধরে থানায় নিয়ে আসে, এরপর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।” থানার ভেতরে মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাইরে কিছু হয়েছে কি না জানা নেই, তবে থানায় আমার সামনে তাকে কেউ মারেনি।”

 

শেয়ার করুন

বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

সময় ০৯:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনকে চাঁদাবাজির মামলায় পিটিয়ে  থানায় সোপর্দ করেছে ছাত্রদল নেতাসহ বিএনপির একাংশের লোকজন।

সোমবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ফতুল্লা থানায় এ ঘটনা ঘটে। মামুন ভুইগড় এলাকার বাসিন্দা ও কুতুবপুর ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়ার ছোট ভাই।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান থানায় মামলা করেন, যেখানে মামুনসহ তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। তবে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহমান।

সোমবার রাতে থানায় আসলে মামুন পালানোর চেষ্টা করেন। তখন আব্দুর রহমান ও তার লোকজন তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে এবং মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানার সামনে অর্ধশতাধিক লোকজন চিৎকার করে এবং এক ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা যায়, যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারধরের শিকার মামুন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কাজী নাজমুল, যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন লিটনসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। তারা সোহেল নামে একজনকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেন। এর প্রতিবাদ করেন ছাত্রদল নেতা মাহফুজ, আব্দুর রহমান, আতাই রাব্বিসহ কয়েকজন।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ চলছিল। শনিবার মামুন তার দলবল নিয়ে মাহফুজ গ্রুপের ওপর হামলা চালালে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান বলেন, “মামুন ও তার সহযোগীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নানা অপকর্ম চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাদের কারণে বিএনপির বদনাম হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। থানায় মামলা হলেও পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করেনি। পরে থানায় এলে সে পালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাকে ধরে ওসির হাতে তুলে দেই।”

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, “পুলিশ আসামিদের চেহারা চিনত না। বাদী পক্ষই মামুনকে ধরে থানায় নিয়ে আসে, এরপর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।” থানার ভেতরে মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাইরে কিছু হয়েছে কি না জানা নেই, তবে থানায় আমার সামনে তাকে কেউ মারেনি।”