ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী

বিএনপির সুরেই কথা বলছে জামায়াত!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৫:২৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 155

বিএনপি-জামায়াত

৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল জামায়াতে ইসলামীর। কিন্তু তিন মাস পর আবারও বিএনপির সুরেই কথা বলতে শুরু করেছে জামায়াত।
দলটির আমির যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল।

এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হেফাজত করেছিল।

জামায়াতের আমির
জামায়াতের আমির

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী বারবার দেশকে বিদেশি আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে এলে জাতি এক মহাসংকটে নিপতিত হবে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির আরও বলেন, সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি জামায়াতের সকল শাখা ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটবদ্ধভাবে অংশ নিবে কিনা, এ নিয়ে দল দুইটির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের শুরু থেকেই। বিএনপি বারবার নির্বাচনের তাগাদা দিলেও জামায়াত সংস্কারের পর নির্বাচন চায়। এ নিয়েই মূলত মৌন বিরোধের সূত্রপাত। কিন্তু ৭ নভেম্বর ইস্যুতে আবারো বিএনপির সুরেই কথা বলেছে দলটি। বিএনপি-জামায়াতের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পথচলা কোনদিকে যাবে, সেদিকে যথেষ্ট রহস্য রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুন

বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী

বিএনপির সুরেই কথা বলছে জামায়াত!

সময় ০৫:২৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল জামায়াতে ইসলামীর। কিন্তু তিন মাস পর আবারও বিএনপির সুরেই কথা বলতে শুরু করেছে জামায়াত।
দলটির আমির যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল।

এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হেফাজত করেছিল।

জামায়াতের আমির
জামায়াতের আমির

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী বারবার দেশকে বিদেশি আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে এলে জাতি এক মহাসংকটে নিপতিত হবে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির আরও বলেন, সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি জামায়াতের সকল শাখা ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটবদ্ধভাবে অংশ নিবে কিনা, এ নিয়ে দল দুইটির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের শুরু থেকেই। বিএনপি বারবার নির্বাচনের তাগাদা দিলেও জামায়াত সংস্কারের পর নির্বাচন চায়। এ নিয়েই মূলত মৌন বিরোধের সূত্রপাত। কিন্তু ৭ নভেম্বর ইস্যুতে আবারো বিএনপির সুরেই কথা বলেছে দলটি। বিএনপি-জামায়াতের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পথচলা কোনদিকে যাবে, সেদিকে যথেষ্ট রহস্য রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।