০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বার্ন ইউনিটে সন্তানের পর মায়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১০:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 27

বার্ন ইউনিট

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের চাষাড়ায় একটি টিনশেডের বাড়িতে লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রুপালি বেগম (২২) মারা গেছেন।

আজ (৯ মার্চ) রোববার ভোর পৌনে ৬টার দিকে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ফিমেল হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

এর আগে, গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে সুমাইয়া নামে তাঁর ১৮ মাসের শিশুর ৪৪ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও গত শুক্রবার একই ঘটনায় রিকশাচালক হান্নান দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যান। এ নিয়ে একই ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গত ৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ আটজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ সকাল পৌনে ৬টার দিকে রূপালী বেগম চিকিৎসাধীন মারা যান। তাঁর শরীরে ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে রুপালির ১৮ মাসের সন্তান সুমাইয়া দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যায়। এর আগে, একই ঘটনায় হান্নান নামে আরও একজনের দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ মার্চ) ভোররাতের দিকে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের চাষাড়ায় একটি টিনশেডের বাড়িতে লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান (৫৫), ও তাঁর পোশাককর্মী স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী (৩২), তাঁদের ছেলে সাব্বির (১২), মেয়ে সামিয়া (১০) ও জান্নাত (৫)। অপর পরিবারের সোহাগ (২৫), তাঁর স্ত্রী রুপালি বেগম (২২) ও তাঁদের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৮ মাস) দগ্ধ হয়।

দগ্ধদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ, শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়। দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

শেয়ার করুন

বার্ন ইউনিটে সন্তানের পর মায়ের মৃত্যু

সময় ১০:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের চাষাড়ায় একটি টিনশেডের বাড়িতে লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রুপালি বেগম (২২) মারা গেছেন।

আজ (৯ মার্চ) রোববার ভোর পৌনে ৬টার দিকে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ফিমেল হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

এর আগে, গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে সুমাইয়া নামে তাঁর ১৮ মাসের শিশুর ৪৪ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও গত শুক্রবার একই ঘটনায় রিকশাচালক হান্নান দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যান। এ নিয়ে একই ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গত ৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ আটজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ সকাল পৌনে ৬টার দিকে রূপালী বেগম চিকিৎসাধীন মারা যান। তাঁর শরীরে ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে রুপালির ১৮ মাসের সন্তান সুমাইয়া দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যায়। এর আগে, একই ঘটনায় হান্নান নামে আরও একজনের দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ মার্চ) ভোররাতের দিকে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের চাষাড়ায় একটি টিনশেডের বাড়িতে লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান (৫৫), ও তাঁর পোশাককর্মী স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী (৩২), তাঁদের ছেলে সাব্বির (১২), মেয়ে সামিয়া (১০) ও জান্নাত (৫)। অপর পরিবারের সোহাগ (২৫), তাঁর স্ত্রী রুপালি বেগম (২২) ও তাঁদের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৮ মাস) দগ্ধ হয়।

দগ্ধদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ, শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়। দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।