০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • সময় ১১:০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 3

বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রাজশাহী বারিন্দ মেডিকেল কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার সমন্বয়কের উপর ছাত্রদের আক্রমণের পর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। সমন্বয়করা দাবি করেছেন, তারা চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে বারিন্দ মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলেন। তবে কলেজের ছাত্রদের দাবি, তারা কলেজের কর্মী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে কলেজের সুশৃঙ্খল পরিবেশে হস্তক্ষেপ করেছেন, যার কারণে তারা তাদের সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য অবরুদ্ধ করেছিলেন।

অন্যদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সমন্বয়করা প্রথমে অফিসের সচিবের সাথে যোগাযোগ করে পরে এমডির কক্ষে প্রবেশ করেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক ছিল বলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে পুলিশ সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তবে সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মেশকাত মিশু বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ করা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সহায়তা করা। কিন্তু ছাত্রদের উদ্বেগের কারণে তারা ভুল বোঝাবুঝির শিকার হন।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ওই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর, রাজশাহীর ছাত্র সংগঠনগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক এবং অভিযোগগুলি ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে।

শেয়ার করুন

বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সময় ১১:০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাজশাহী বারিন্দ মেডিকেল কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার সমন্বয়কের উপর ছাত্রদের আক্রমণের পর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। সমন্বয়করা দাবি করেছেন, তারা চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে বারিন্দ মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলেন। তবে কলেজের ছাত্রদের দাবি, তারা কলেজের কর্মী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে কলেজের সুশৃঙ্খল পরিবেশে হস্তক্ষেপ করেছেন, যার কারণে তারা তাদের সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য অবরুদ্ধ করেছিলেন।

অন্যদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সমন্বয়করা প্রথমে অফিসের সচিবের সাথে যোগাযোগ করে পরে এমডির কক্ষে প্রবেশ করেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক ছিল বলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে পুলিশ সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তবে সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মেশকাত মিশু বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ করা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সহায়তা করা। কিন্তু ছাত্রদের উদ্বেগের কারণে তারা ভুল বোঝাবুঝির শিকার হন।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ওই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর, রাজশাহীর ছাত্র সংগঠনগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক এবং অভিযোগগুলি ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে।