০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে

বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থি হামলা নিয়ে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 16

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থি হামলা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে ওই প্রশ্নের কোনো সরাসরি জবাব দেননি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

স্থানীয় সময় সোমবারের ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের কাছে বাংলাদেশে সাংবাদিক গ্রেপ্তার এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যম নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামপন্থী চরমপন্থী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন- মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকের বেআইনি কারাদণ্ডের বিষয়টি কীভাবে মোকাবেলা করছে এবং বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করছে?

ব্রুস বলেন, আমরা এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই। আমি মনে করি, আমরা অন্যান্য দেশগুলোর ইস্যু কীভাবে পরিচালনা করি, তাদের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করলে তাদের কাছ থেকে আমরা কী আশা করি, অর্থাৎ কূটনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ফিরে যাই। সৌভাগ্যবশত, আমাদের একটি প্রশাসন এবং একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে মুখোমুখি কথোপকথন করেন এবং অবশ্যই আমাদের শক্তির উপর এর প্রভাব আশা করা যায়। আমাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি জানেন যে আমরা প্রতিটি দেশ, অবশ্যই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে মানবাধিকারের নিয়ম মেনে চলা এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের তাদের সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কে সচেতন এবং ন্যায্য হওয়া আশা করি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। প্রশ্নকারী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক দিন আগে প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেছিলেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন কী, তিনি কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

জবাবে ব্রুস বলেন, সরকারের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক বিবেচনা বা একটি নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে মনোভাব ও পদ্ধতির উত্তর তিনি দেবেন না। যেগুলো একটি কূটনৈতিক ধরনের কথোপকথনের মধ্যে পড়ে, সেখানে স্পষ্টতই তিনি কথা বলতে পারেন না। অথবা কী ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি অনুমান করতে পারেন না।

শেয়ার করুন

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে

বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থি হামলা নিয়ে প্রশ্ন

সময় ১২:১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থি হামলা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে ওই প্রশ্নের কোনো সরাসরি জবাব দেননি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

স্থানীয় সময় সোমবারের ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের কাছে বাংলাদেশে সাংবাদিক গ্রেপ্তার এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যম নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামপন্থী চরমপন্থী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন- মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকের বেআইনি কারাদণ্ডের বিষয়টি কীভাবে মোকাবেলা করছে এবং বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করছে?

ব্রুস বলেন, আমরা এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই। আমি মনে করি, আমরা অন্যান্য দেশগুলোর ইস্যু কীভাবে পরিচালনা করি, তাদের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করলে তাদের কাছ থেকে আমরা কী আশা করি, অর্থাৎ কূটনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ফিরে যাই। সৌভাগ্যবশত, আমাদের একটি প্রশাসন এবং একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে মুখোমুখি কথোপকথন করেন এবং অবশ্যই আমাদের শক্তির উপর এর প্রভাব আশা করা যায়। আমাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি জানেন যে আমরা প্রতিটি দেশ, অবশ্যই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে মানবাধিকারের নিয়ম মেনে চলা এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের তাদের সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কে সচেতন এবং ন্যায্য হওয়া আশা করি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। প্রশ্নকারী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক দিন আগে প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেছিলেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন কী, তিনি কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

জবাবে ব্রুস বলেন, সরকারের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক বিবেচনা বা একটি নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে মনোভাব ও পদ্ধতির উত্তর তিনি দেবেন না। যেগুলো একটি কূটনৈতিক ধরনের কথোপকথনের মধ্যে পড়ে, সেখানে স্পষ্টতই তিনি কথা বলতে পারেন না। অথবা কী ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি অনুমান করতে পারেন না।