ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সেরা হ্যাকার গ্রুপ

আকাশ ইসলাম
  • সময় ০২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 267

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশ স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যার সম্মুখীন হওয়ার পর থেকে বড় ধরনের সাইবার হামলার মুখে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপগুলোর দাবি, ২১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ভারতের অন্তত ১৫টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছেন তারা।

হ্যাক হওয়ার তালিকায় রয়েছে, ভারতীয় পুলিশ, সেনাবাহিনী, সবচেয়ে বড় পেমেন্ট গেটওয়ে ভারতপে, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, দিল্লি মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট। তাছাড়া এয়ারলাইনস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও ডাউন করেছে গ্রুপটি।

কখনো ভারতের সঙ্গে, কখনও মায়ানমারের সঙ্গে, আবার কখনো বা পাকিস্তানের হ্যাকারদের সঙ্গে বাংলাদেশের হ্যাকারদের সাইবার যু’দ্ধ এতোদিন বিচ্ছিন্ন ভাবেই আমরা দেখতাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশী হ্যাকারদের সামর্থ আসলে কতটুকু?

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের হয়ে কারা করছেন এসব হ্যাক। বাংলাদেশই বা কতোটা শক্তিশালী হ্যাকিং এ। সারাবিশ্বে ৯১৮টি স্বীকৃত হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে; এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ গ্রে হ্যাট হ্যাকার। একই সঙ্গে এই হ্যাকার টিমটি পৃথিবীর অন্য একটি তালিকায় পৃথিবীর সেরা ৫০টি হ্যাকার টিমের মধ্যে ৩২তম অবস্থানে রয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম হ্যাকার গ্রুপ ‘টাইগার মেট’। বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় হ্যাকার গ্রুপটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে তাদের ডিফেসমেন্ট আক্রমণের জন্য।

ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সরকারি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। টাইগার মেট প্রায় ১২০টির বেশি ওয়েবসাইট হ্যাক করে রাজনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক সাইবার স্পেসে পরিচিতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স। এই গ্রুপটি আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে। তারা বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইটে দুর্বলতা খুঁজে বের করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে। যদিও তাদের হ্যাকিংয়ের সংখ্যা অজ্ঞাত, তবে তাদের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা দুনিয়ায় প্রভাব ফেলছে।

ব্ল্যাক ড্রাগন গ্রুপটি সামাজিক মিডিয়া এবং সরকারি ওয়েবসাইটে আক্রমণ করে পরিচিতি লাভ করেছে। তারা প্রায় ৫০টির বেশি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়েছে এবং তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের আক্রমণগুলো জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তারা প্রায় ২০০টি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে ভারতীয় এবং মিয়ানমারের মতো দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই গ্রুপটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে।

কন্সপাইরেসি গ্রুপটি বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়ে পরিচিতি পেয়েছে। আনুমানিক ৩০টি ওয়েবসাইট তাদের হামলার শিকার হয়েছে। তারা গোপনীয় তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে এবং সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনা শুরু করেছে।

বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক অবস্থান এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য কাজ করছে। তাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার প্রতি একটি নজির স্থাপন করেছে।

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের সেরা হ্যাকার গ্রুপ

সময় ০২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশ স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যার সম্মুখীন হওয়ার পর থেকে বড় ধরনের সাইবার হামলার মুখে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপগুলোর দাবি, ২১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ভারতের অন্তত ১৫টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছেন তারা।

হ্যাক হওয়ার তালিকায় রয়েছে, ভারতীয় পুলিশ, সেনাবাহিনী, সবচেয়ে বড় পেমেন্ট গেটওয়ে ভারতপে, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, দিল্লি মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট। তাছাড়া এয়ারলাইনস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও ডাউন করেছে গ্রুপটি।

কখনো ভারতের সঙ্গে, কখনও মায়ানমারের সঙ্গে, আবার কখনো বা পাকিস্তানের হ্যাকারদের সঙ্গে বাংলাদেশের হ্যাকারদের সাইবার যু’দ্ধ এতোদিন বিচ্ছিন্ন ভাবেই আমরা দেখতাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশী হ্যাকারদের সামর্থ আসলে কতটুকু?

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের হয়ে কারা করছেন এসব হ্যাক। বাংলাদেশই বা কতোটা শক্তিশালী হ্যাকিং এ। সারাবিশ্বে ৯১৮টি স্বীকৃত হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে; এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ গ্রে হ্যাট হ্যাকার। একই সঙ্গে এই হ্যাকার টিমটি পৃথিবীর অন্য একটি তালিকায় পৃথিবীর সেরা ৫০টি হ্যাকার টিমের মধ্যে ৩২তম অবস্থানে রয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম হ্যাকার গ্রুপ ‘টাইগার মেট’। বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় হ্যাকার গ্রুপটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে তাদের ডিফেসমেন্ট আক্রমণের জন্য।

ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সরকারি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। টাইগার মেট প্রায় ১২০টির বেশি ওয়েবসাইট হ্যাক করে রাজনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক সাইবার স্পেসে পরিচিতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স। এই গ্রুপটি আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে। তারা বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইটে দুর্বলতা খুঁজে বের করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে। যদিও তাদের হ্যাকিংয়ের সংখ্যা অজ্ঞাত, তবে তাদের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা দুনিয়ায় প্রভাব ফেলছে।

ব্ল্যাক ড্রাগন গ্রুপটি সামাজিক মিডিয়া এবং সরকারি ওয়েবসাইটে আক্রমণ করে পরিচিতি লাভ করেছে। তারা প্রায় ৫০টির বেশি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়েছে এবং তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের আক্রমণগুলো জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তারা প্রায় ২০০টি ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে ভারতীয় এবং মিয়ানমারের মতো দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই গ্রুপটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে।

কন্সপাইরেসি গ্রুপটি বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়ে পরিচিতি পেয়েছে। আনুমানিক ৩০টি ওয়েবসাইট তাদের হামলার শিকার হয়েছে। তারা গোপনীয় তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে এবং সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনা শুরু করেছে।

বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক অবস্থান এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য কাজ করছে। তাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার প্রতি একটি নজির স্থাপন করেছে।