বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক জয়’ বললেন মোদি
- সময় ০২:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 27
বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে মোদি লিখেছেন, ‘বিজয় দিবসে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের জয়ে অবদান রাখা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাই।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলেছে, মোদি তাঁর পোস্টে ‘ভারতীয় সেনাদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প জাতিকে রক্ষা করেছে এবং যুদ্ধে ভারতের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই পোস্ট তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ বিজয় দিবসে আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের জন্য গৌরব এনে দিয়েছিল। এই দিনটিতে তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং তাদের অটল চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।’
মোদির এই টুইটের নিচে ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও তারকাও মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যের ঘরে গুজরাট রাজ্যের বিধানসভার এমপি পুর্নিশ লিখেছেন, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। আমাদের সেনাদের বীরত্বগাঁথার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
মোদির এই পোস্ট ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জনকে ভারত ছিনতাই করার চেষ্টা করছে বলে অনেক নেটিজেন ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন। অনেকে লিখেছেন, এটি সম্মানজনক পররাষ্ট্রনীতির আচরণ নয়। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, মোদির মনোভাব বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি।
এ বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছে, এটি শুধু ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বই উপেক্ষিত। যখন এই স্বাধীনতাকে ভারত নিজেদের অর্জন হিসেবে দাবি করে, তখন আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি। ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতেই হবে।’
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন যাচ্ছে, এর মধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শরু হয়েছে।